ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে আয়ান নামের ৫ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে নিরাপদ হাসপাতাল চাই (নিহাচ) নামক একটি সামাজিক সংগঠন। একইসঙ্গে সংগঠনটি আরও পাঁচটি দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
নিহাচের দাবিগুলো হচ্ছে- দালাল মুক্ত ও রোগীবান্ধব হাসপাতালের ব্যবস্থা করা; জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ, সিসিইউসহ সকল পরীক্ষা নিশ্চিত ও আসন বাড়ানো; রোগী ও চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; সকল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা নিশ্চিত করা এবং টেস্ট ফি এবং ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া।
মানববন্ধনে নিহাচের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার ফকর উদ্দিন মানিক বলেন, আয়ানের মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এই ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো নিবন্ধন ছিল না। অবৈধ্য ভাবে তাদের এই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার বলি হলো ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকা আয়ানের। অভিযোগ আছে, আয়ানকে অপারেশন থিয়েটারে রেখে এক-দেড় ঘণ্টা ক্লাস নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। খৎনাকে ছোট অপারেশন ভেবে চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা গেছে আয়ান।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, অতিদ্রুত অভিযুক্ত ডাক্তার ডা. সাব্বির আহমেদ ও ডা. মেহজাবীন এবং নিবন্ধনহীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে আয়ানের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
নিহাচের সদস্য সচিব এফ এ শাহেদ বলেন, দেশের বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালের দশা থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যায় বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুধু ওলিগারদের জন্য। সাধারণ মানুষ তার মৌলিক স্বাস্থ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, মারা যাবে, শিরোনাম হবে। প্রাপ্তি হিসাবে পাবে একটি বিজ্ঞপ্তি মাত্র। শিশু আয়ানের মত ঘটনা এখন নিয়মিত।
আর ইউনাইটেড হাসপাতালের ঘটনা এই প্রথম নয়, ১৫ বছর আগে নায়ক মান্নার মৃত্যতে তার স্ত্রীর মামলা করলেও বিচার হয়নি। রাষ্ট্রের বিচার পাওয়া, স্বাস্থ্য সেবা পাবার অধিকার কি শুধু একটি বিশেষ শ্রেণীর? এই প্রশ্নের উত্তরের সাথে স্বাস্থ্য খাতকে মানুষের নাগালের ভিতর আনতে হবে।
মানবন্ধনে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :