রাজধানীর পান্থপথে একটি বাসার সাততলা থেকে পড়ে হামিদা রহমান (৬৭) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছেলের দাবি, তার মা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি পাশের রুমে থাকলেও কিছুই টের পাননি।
শুক্রবার রাত ১২টার পর পান্থপথের গ্রিন রোডে এ দুঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
হামিদা রহমান ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী। এক ছেলে ও এক মেয়েসহ তারা পান্থপথের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতাল মর্গে হামিদা বেগমের ছেলে মশিউর রহমান ফাহিম জানান, দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। এরপর থেকেই তার মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। আগেও একবার একাই বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাসায় থাকতে চাইতেন না তিনি।
মশিউর আরও জানান, শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ভবনের নিচ থেকে খবর পান তার মা নিচে পড়ে গেছেন। তখন তারা ভবনটির নিচে একটি বাথরুমের ছাদের ওপরে তার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন তারা। এরপর পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নার্গিস আক্তার সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই নারী। রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন বাসার বারান্দায় যান তিনি। প্রথমে তালা দেয়া গ্রিল খুলে সেখানে শাড়ি বাঁধেন। এরপর শাড়ির এক পাশ নিজের কোমরে বেঁধে নিচে নামার চেষ্টা করছিলেন। তখন শাড়ি ছিঁড়ে তিনি ভবনটির নিচে একতলার বাথরুমের ছাদের ওপর পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলেও জানান এসআই নার্গিস।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :