রাজধানীর ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সড়কে সড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক পুলিশ। সড়কে অনাকাঙ্খিত নানা মরনঘাতি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খরা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। তার নির্দেশেই ওই ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) বিপ্লব ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে সোমবারও দিনব্যাপী যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল ও ধোলাইপাড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এ সময় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ইজিবাইক ও ত্রুটিপূর্ণ ৫২ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও রেকারিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে গত রোববার ডেমরার ষ্টাফ কোয়াটার ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুইয়াল ইউলুপের সামনেও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
এ সময় সড়কে কিছুটা যানবাহনের চাপ পড়ে। টিআই বিপ্লব ভৌমিক বলেন, এ ধরনের অভিযান পরিচালনার ফলে অবৈধ যানবাহনের চলাচল অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়কে নানা দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রহন করা নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নবনিযুক্ত ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম যোগদানের পর থেকেই। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে যার নম্বর (০১৩২০০৪৩৯০০)। ডিউটি কালীন যোগাযোগ করতে পি এ সিস্টেম চালু, স্পেশাল টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা, সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্তভারী যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা, আর এসব প্রতিহত করতে সর্বদাই পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করাসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে ট্রাফিকের। বিশেষ অভিযান টিম প্রতিদিন ৫০ টির অধিক অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়মের জন্য কারো সুপারিশ কাজে লাগে না বলে জানা গেছে।
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, হিজরাদের নেতা ও বাস-ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মিটিং করেছে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ। এছাড়াও রাস্তায় ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার জন্য ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় দুই এমপি মো. মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও মো. আওলাদ হোসেনের সাথেও সমন্বয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খরা ফিরবেই। তবে অটোরিকশা বেপরোয়া চালানের কারণে অনেক সময় ধরতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে অনেক সময় অটোরিকশার দিকে নজর দিতে পারে না ট্রাফিক পুলিশ। তবে ট্রাফিক পুলিশের এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :