নবম দিনে গড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনে পাঠক, লেখক, প্রকাশ ও দর্শনার্থীর মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি পছন্দের বই কিনছেন অনেকে। দর্শনার্থীদের এমন ভিড়ে আনন্দিত লেখক, প্রকাশ ও বিক্রয়কর্মীরা।
শুক্রবার বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। দেখা যায়, বইপ্রেমীদের কলরবে প্রাণবন্ত অমর একুশে বইমেলা। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনসমাগম। ছুটির দিনে স্টলগুলোর চারপাশ ঘিরে রেখেছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বইয়ের গন্ধ পেতে মরিয়া তারা।
মেলার প্রতিটি চত্বরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস। কেউ আড্ডা দিচ্ছেন কেউ বা আবার বন্ধু স্বজনদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে মেলার দৃষ্টিনন্দন স্টল ও প্যাভিলিয়ন দেখছেন।
মেলায় ৯ দিনের মধ্যে আজকেই সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী এসেছেন। সকাল থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর পর্যন্ত পিক আওয়ার আমাদের। এ সময় বেশি বেচাকেনা হচ্ছে।
আজকে মেলা ভালোই জমজমাট। খুবই ভালো লাগছে। তবে, যারা আসছেন সবাই বই কিনছেন না। দর্শনার্থী আর ক্রেতা আলাদা বিষয়। তবে, অন্যান্য দিনের চেয়ে বিক্রি ভালো।
আজকের জনসমাগম অনন্য। এখানে প্রকৃত ক্রেতা যারা তারা অবশ্যই বই কিনবেন। দর্শনার্থীরাও থাকবেন এটাই যে কোন মেলার স্বাভাবিক চিত্র। প্রকাশকদের উচিৎ ভালো বই এনে পাঠকদের আকৃষ্ট করা। আমরা ৬০টি বই এনেছি এবছরের মেলায়। বিক্রিও ভালো।
মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি হুমায়ূন আহমেদের বই কিনেছি। প্রতিবছর মেলায় আগের প্রজন্মের লেখকদের বই পড়তে হচ্ছে। সৃজনশীল লেখক বের হচ্ছে খুবই কম।
ভাষার মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানেই অমর একুশে বইমেলায় শিশুদের দিন। সকাল থেকেই শিশুদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলার শিশুপ্রহর। এবছর লিপ ইয়ারের কারণে মেলা হবে ২৯ দিনের।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :