AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডেমরায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, খদ্দেরসহ আটক ১১


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:০২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
ডেমরায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, খদ্দেরসহ আটক ১১

রাজধানীর ডেমরায় “ফেসি ইন” নামে একটি আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযানে পতিতা, খদ্দের ও হোটেল কর্তৃপক্ষসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে থাকা ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ।

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করার সময় হোটেলটির ৪ জন স্টাফ, আগত ৪ জন পতিতা ও ৩ জন খদ্দেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- “ফেসি ইন” এর সহকারী ম্যানেজার মো. শুভ (২২), ক্যাশিয়ার মো.পারভেজ (২৩), স্টাফ মো.আলাউদ্দিন (৩৪), হোটেল বয় মো. সোহেল (২৬), খদ্দের মো. আল আমীন (২৫), রফিকুল ইসলাম (৩৪), মো. রাব্বী (২৫)। এ সময় মোছা. কাজল (২৫), মোছা. স্মৃতি জাহান ওরফে মিম (২৪), মোছা.ডালিয়া (২৭) ও মোছা. শাকিলা অক্তার তাবাসুম (২৪)।

এদিকে অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেলের মালিককে  জয় (৩৮) ও ম্যানেজার মো. আফজাল (৩৫) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোপূর্বেও এ হোটেলে এমন অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার কারণে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ডেমরা থানায় মামলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মীড়পাড়াস্থ ফেসি ইন হোটেলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী মহিলাদের একত্রিত করে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের একত্রিত এখানে যৌন শাষণ ও নিপীড়ন মূলক কার্য পরিচালনাও করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি ডেমরা থানায় যোগদানের পর থেকেই এ আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেছি। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরে তারা আবার ওই কাজ শুরু করেছে খবর পেয়ে হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় উপরাক্তে আসামীদেরকে হাতে নাতে ধৃত করি। আর পলাতক আসামীরা গ্রেফতার ১,২,৩ ও ৪নং আসামীর সহায়তায় সংগ্রহ করা মেয়েদের বিভিন্ন কাজের সুযাগে করে দেওয়ার প্রলোভেন দেখিয়ে হোটেলটিতে এনে খদ্দের সংগ্রহ করতো।


একুশে সংবাদ/শ.ই.প্র/জাহা

Link copied!