রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিলেও ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন এক রেস্টুরেন্টের দুইজন কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আলতাফ নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তার দুই সহকর্মী নিহত হয়েছেন। তারা অন্যদের ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের চেষ্টায় অন্যরা বের হয়ে যেতে সমর্থ হলেও তারা নিজেরা বাঁচতে পারেননি।
আলতাফ আরও বলেছেন, ‘যখন সামনে আগুন লাগে এবং কাঁচ ভেঙে যায়, আমাদের ক্যাশিয়ার এবং ওয়েটার সবাইকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা দুজনই মারা যায়। আমি রান্নাঘরে যাই এবং একটি জানালা ভেঙে লাফ নিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই।’
এদিকে, বহুতল ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকা পড়ে যায় খেতে আসা মানুষরা।
আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ১৩টি ইউনিট। তবে, এই সময়ের মধ্যেই দগ্ধ হন বহু সংখ্যক মানুষ। আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন জানান, আগুনের সূত্রপাত কোনও চুলা অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে। কারণ ভবনটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। ভবনের সিঁড়িসহ সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ছড়ানো-ছিটানো ছিল।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :