ভিসা পেতে দেরি হওয়ার কারণ জানিয়েছে ইতালির দূতাবাস। ভিসা আবেদন দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় গড়ে চারটির মধ্যে একটি আবেদনের সঙ্গে জাল নথি রয়েছে৷ এ পরিস্থিতিতে দূতাবাসকে অতিরিক্ত চেক করতে হচ্ছে কাগজপত্র। যা প্রকৃত আবেদনকারীদের প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাস।
দূতাবাস জানায়, ভিসা আবেদনের সংখ্যা কোভিড মহামারির আগে সময়ের তুলনায় তিন গুণের বেশি এবং ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। গড়ে চারটির মধ্যে একটি আবেদনের সঙ্গে জাল নথি রয়েছে৷ এ পরিস্থিতির কারণে দূতাবাসকে অতিরিক্ত চেকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা প্রকৃত আবেদনকারীদের প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দিয়েছে।
ইতালিয়ান দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ভিসা আবেদনকারীদের একটি সাবলীল সেবা দেয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
দূতাবাসের ভিসা বিভাগ সম্প্রতি একটি নতুন এবং বড় জায়গা নিয়েছে৷ কিছু অতিরিক্ত কর্মীও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ঢাকায় ইতালির জন্য ভিএফএস ভিসা আবেদনকেন্দ্রটি বৃহত্তর এবং আরও দক্ষ প্রাঙ্গণে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে দূতাবাস দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত ভিসা আবেদন ২০ শতাংশ বেড়েছে। আমরা কোনো ধরনের অযৌক্তিক বিলম্বের জন্য দুঃখিত এবং আবেদনকারীদের এটা বোঝার জন্য ধন্যবাদ।
যেসব ভিসা আবেদনকারী তাদের পাসপোর্ট ফেরত প্রয়োজন, তারা আবেদনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, গত মাসে ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য ভিসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশনা দেয় ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাস।
বৈধ নুলাওস্তাসহ (ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) অ্যাপয়েন্টমেন্টকারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে পারবেন। এ ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ (অতিরিক্ত টাকা) লাগবে না।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :