ঢাকার আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নবজাতকের শরীরে ভেতরে সুঁই রেখে দিয়েছিল চিকিৎসকরা।
সেই নবজাতকের শরীর থেকে ইনজেকশন সিরিঞ্জের আস্ত সুঁই বের হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যমে মুখ খোলেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা তদন্ত গঠিত কমিটির কোনও সদস্য।
১৯ এপ্রিল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা রিতার তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন প্রসূতি তুলি আক্তার। ২০ এপ্রিল চিকিৎসক মুস্তারি ফারহানার সহায়তায় সন্তান প্রসব করেন তিনি।
বাড়ি ফেরার পর নবজাতক আব্দুল্লাহ সাফওয়ানের জ্বর ও চামড়ার নিচে অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব টের পান বাবা-মা। ফের হাসপাতালটিতে গেলে সুচিকিৎসা মেলেনি। পরে স্বজনদের তৎপরতায় নবজাতকের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে ইনেজকশন সিরিঞ্জের দেড় ইঞ্চি লম্বা সুঁই।
এ নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়।
২৩ মে সকালে আশুলিয়া মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তদন্ত কমিটির দুই সদস্য। ডাক পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন নবজাতকের বাবা সাইফুল ইসলাম। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। যদিও তদন্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেননি হাসপাতাল কিংবা তদন্ত কমিটির কেউই।
পরে আশুলিয়ার দেওয়ান মার্কেট এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবারটির বাড়িতে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। খোঁজ নেন শিশুটির শারীরিক অবস্থার।
তুলি আক্তার বলেন, আর কারও সন্তানের সঙ্গে যেন এমন ঘটনা না ঘটে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/ স.টি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :