রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকা থেকে জাল টাকাসহ জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, তার কাছ থেকে নগদ দেড় কোটি টাকা মূল্যের জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান বলেন, জাকির হোসেন জাল টাকা তৈরির একজন মাফিয়া। এর আগেও তাকে দুবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকের সময় তার কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, জাকির হোসেন ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে রাজধানীতে জাল টাকা তৈরি করছেন।
এদিকে আটক হওয়ার পর জাকির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, আমার নিষ্পাপ সন্তান, সে তো কোনো অপরাধ করে নাই। আমার অপরাধের কারণে আমি আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার বৌ-বাচ্চা এর সঙ্গে জড়িত ছিল না।
জাল নোট তৈরির কাঁচামাল কোথায় পেলেন এক বেসরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টারের এমন প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এগুলো এভাইলেবল (প্রচুর)। এর সরঞ্জামগুলো বৈধ, কিন্তু আমরা অবৈধ কাজে এটা ব্যবহার করেছি।
জাকির আরও বলেন, আমরা বাংলা টাকা যেভাবে বানাই, ইন্ডিয়ান (ভারতীয়) রুপিও সেভাবেই বানাই। ইন্ডিয়ান রুপিটা রাজশাহীর এক লোকের কাছে বিক্রি করি। সে ওগুলো কি করে, তা আমি বলতে পারব না।
তিনি বলেন, আগে ৫০০ ও ১০০০ নোটের চাহিদা বেশি থাকলেও এখন ছোট নোটের চাহিদা বেশি। এ জন্য ২০০ টাকার নোটও জাল করছেন তারা। এক লাখের ১০০০ টাকার বান্ডিল সর্বোচ্চ আট হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে ছাপানো শুরু করেছেন ভারতীয় রুপিও।
জাকিরের সহযোগী রুমানা ইসলাম বলেন, তারা এর আগে একাধিকবার জেল খেটেছেন মাদক মামলায়। জেলে থাকাবস্থায় জাল নোট তৈরি ও সরবরাহকারী চক্রের সঙ্গে পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্ত হন জাল নোটের কারবারের সঙ্গে। মাত্র ১৫ দিন আগেও জাকিরের থেকে ৫০ লাখ টাকার জাল নোট সংগ্রহ করে বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :