রাজধানীর বনানী ও ভাটারায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ জুন) রাতের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতারা হলেন, তানিয়া আক্তার(২০) ও সুবর্ণা আক্তার (২০)। তানিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কালিপুরা গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে কড়াইল বস্তিতে ভাড়া থাকতেন। অপরজন সুবর্ণা আক্তার জামালপুর সদরের ছইনতিয়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে ভাটারা এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
বনানী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে বনানী কড়াইল বস্তির বরিশাল পট্টির বাচ্চু মিয়ার বাড়ি থেকে গৃহবধূ তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, নিহত তানিয়া আক্তারের ছয় মাস পূর্বে বিয়ে হয়। যেকোন বিষয় নিয়ে স্বামী তানিয়ার উপর সন্দেহ করে এবং মারধরও করে। এই নিয়ে গতরাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্বামীর অভিমান করে বাশের আরার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে পড়ে তানিয়া। পরে তা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয় ওই গৃহবধূর মরদেহ।
এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই রোজিনা আক্তার।
অপর ঘটনায় ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে গতরাত আড়াইটার দিকে উত্তর মান্ডা ছাতা মসজিদ গলি এলাকার একটি বাসা থেকে সুবর্ণা নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতনদের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।’
তিনি আরো জানান, আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি,স্বামী আবদুল মান্নানের সঙ্গে নিহত সুবর্ণা মায়ের বাড়ি বেড়াতে যায়। পরে সুবর্ণার স্বামী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যেতে চাইলে সুবর্ণা না যতে চাইলে তার মা তাকে বকাঝকা করে মেয়েকে একটি থাপ্পড় দেয়। এতে মায়ের উপর অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ে সুর্বণা।
পরে তা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই আঙ্গুরা আক্তার।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :