সকাল বেলাতেই যেন নেমে আসে রাতের আঁধার, কালো মেঘে ছেয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। সেই সঙ্গে বইতে শুরু করে হওয়া। বুধবার (২৬ জুন) সকালে এমন আবহাওয়ার মধ্যেই আকাশের বুক চিরে নেমে আসে বৃষ্টি। এতে অফিসগামী ছাড়াও কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, আজ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বর্ষণ হবে।
এতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। সড়কে যানবাহন চলাচল কমে যায়। এই সুযোগে রিকশাভাড়া হয়ে যায় কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ভিজে গন্তব্যে যান, বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ। যারা বাসা থেকে হেঁটে বা মোটরসাইকেলে বের হন তারা মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েন।
পথচারী, ছিন্নমূল মানুষ অনেকে আশ্রয় নেন বিভিন্ন ভবনের আশপাশ, দোকানপাট এবং মেট্রোরেলের পিলারের নিচে। শাহবাগে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আপাদমস্তক ভেজা অবস্থায় আশ্রয় নিতে দেখা যায় ছিন্নমূল এক ব্যক্তিকে। তিনি বলেন, আমার বিছানা-কাঁথা সব ভিজে গেছে। আকাশের যে অবস্থা তাতে তো মনে হচ্ছে, এই বৃষ্টি আজকে আর থামবে না।
সুলতান নামে এক যাত্রী বলেন, বৃষ্টির কারণে ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিতে চেয়েছি, কিন্তু রিকশাচালক চাচ্ছে ৮০ টাকা। এমন অবস্থায় অনেকেই ভিজে ভিজে গন্তব্যের পথে যাত্রা করেছেন। ঝুম বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে।
এদিকে, বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকাসহ ৮ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.চ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :