AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইন্দিরা রোডে কাউন্সিলরের  দুই ক্যাডার বাহিনী দফায় দফায় হামলা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২:৫৭ পিএম, ৮ জুলাই, ২০২৪
ইন্দিরা রোডে কাউন্সিলরের  দুই ক্যাডার বাহিনী দফায় দফায় হামলা

 রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে  লেগুনা  স্টানকে কেন্দ্র করে স্থানীয়  ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দুই  ক্যাডার বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালি হামলা শিকার হন। 

ফরিদুর রহমান খান ইরান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ফার্মগেট এলাকায় দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কোচিং বাণিজ্য সবকিছুই তার একক নিয়ন্ত্রণে। তার ক্ষমতার কাছে সবাই ধরাশায়ী। 

তার ইচ্ছার বাইরে গেলেই চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। অনেকের মতে ফার্মগেট এলাকার ‘অঘোষিত রাজা’ ইরান। তার কথাই সেখানে আইন, তিনিই সর্বেসর্বা। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় দোকানে চাঁদাবাজি করে তার বাহিনী।

তেজগাঁও কলেজেও তার একক আধিপত্য। কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। ফার্মগেট এলাকায় যত কোচিং সেন্টার আছে, সবগুলোই ইরানের নিয়ন্ত্রণে। এখান থেকে প্রতি মাসে কামাই লাখ লাখ টাকা। হোটেলের পাশের একটি বাড়ি দখলে নিয়েছেন। সেটি ভেঙে বর্তমানে একতলা ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। ইরানের ক্যাডার বাহিনী আড্ডা দেয় সেখানে।

রবিবার সকাল আটটার দিকে   ইন্দিরা  রোডে লেগুনা স্টানে  মিথুন ঢালী এসে খামার বাড়ি  থেকে ৬০ ফিটও মিরপুর  যাওয়ার ইস্টার্ন দখল করতে চাইলে  দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর ভাই সাত্তার  ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালি হামলা উপর হামলা চালায়। 

স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা গণমাধ্যমকে জানায় কমিশনার নির্দেশ মিথুন ঢালী সাত্তারের লেগুনো স্ট্যান্ড দখল করতে যায়, সে সময় সাত্তার ও মিথুন ঢালী ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে,দেলোয় হোসেন চুন্নির নির্দেশে মিথুন ঢালী  উপর হামলা চালায়। 

তিনি আরো বলেন ইন্দিরা পরিবহন দুই ভাগে পরিচালনা হয় ফার্মগেট টু মোহাম্মদপুর জিগাতলা পরিচালনা করেন দেলোয়ার হোসেন চুন্নু ও খামারবাড়ি থেকে ৬০ ফিট  মিরপুর পরিচালনা করেন দেলোয়ার হোসেন চুন্ন ভাই সাত্তার।

চুন্ন কমিশনারের লোক হলেও সাত্তার কমিশনারের লোক নয় চুন্নু কমিশনকে চাঁদা দিলেও সাত্তার কমিশনারকে পাত্তা দেয় না। 

সেজন্যই কমিশনারের লোক মিথুন ঢালীকে দিয়ে স্থানে ওয়ার্ড কমিশনার সাত্তারের লেগুনা স্টান দখল দখল করতে চেয়েছিল করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর ছেলের সামনে তার চাচার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে উল্টো দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর নির্দেশে তার ছেলে এবং তার বড় মেয়ের জামাই লেগুনা ড্রাইভার হেল্পারসহ প্রায় ৪০  জন মিলে হামলা চালায় মিথুন ঢালির উপর । পরে পথচারীদের সহযোগিতায় টহল পুলিশ এসে উদ্ধার করে গ্রীন লাইফ হসপিটালে নিয়ে যায় মিথুন ঢালীকে।

ওই যুবলীগ নেতা আরো বলেন- এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় ওয়ার্ড ট্রান্সলেটর নির্দেশে  তেজগাঁও কলেজ থেকে আরে গ্রুপে এসে হামলা চালায় দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর ভাই সাত্তার ও ছেলের উপর হামলা চালায়। 

সে সময় চুন্নুর ভাই ছাত্তার জোরালো আঘ করলে মাথা ফেটে যায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে কমিশনারের বাহিনী শটকে পড়লে স্থানের জনগণ সাত্তার কে  ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

ইন্দিরা রোডের পাশের বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড গণমাধ্যমকে জানায় আমি চিৎকারতে চামচ শুনে বাহির হয়ে দেখি দুজন লোককে অনেকজন লোকজন মিলে প্রচুর মারধর এবং পুলিশ এসে ওই দুজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় আর কিছু সময় পর  আরেক গ্রুপে এসে লেগুনা পরিবহনের মালিক ও ড্রাইভারদের এলোপ্যাথারি মারধর করতে থাকে এবং লেগুনা ভাঙচুর করে। 

 মনিপুরী পাড়ার বাসিন্দার আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, খামার বাড়ির দক্ষিণ পাশে বট গাছে নিচের চায়ের দোকান ছিল, সেখানে আমরা বন্ধুরা মিলে আড্ডা মারতাম। 

একদিন চুন্নুর ছেলে শুভ আমাদের পাশেই বসে চা খাচ্ছিল,হঠাৎ করে দুই তিন জন ছেলে মিলে একটি মেয়েকে ইভটিজিং করে।

সে সময় আমরা প্রতিবাদ করলে সে আমাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে এবং বলে তোমরা আমাকে চিনো আমি কমিশনের কমিশনারের নাতি। তোমরা এখানে কিভাবে চা খাও এবং আড্ডা দাও এটা আমি দেখব। 

তার কিছুদিন পর কমিশনারের বড় ভাই দুরান উপস্থিত থেকে সেই সমস্ত চায়ের দোকান উৎসব করে,এবং  দেলোয়ার হোসেন চুন্নু বটগাছ কে একটু সেটে ছুটে সেই ফুটপাতের উপর তার ছেলে শুভকে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট বানিয়ে দেয়। 

আতিক সাহেব আরো বলেন কিভাবে খামারবাড়ি ব্যস্ত এলাকায় ফুটপাতের উপর এক তোলা ছার বিশিষ্ট বিল্ডিং করে তারা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট বানায় আপনারা বুঝে নেন এদের ক্ষমতা কতটুকু। এরা কাউন্সিলর এর লোকজন হয় এদের সামনে কথা বলতে কেউ সাহস পায় না। 

এ বিষয়ে ইন্দিরা পরিমানের মালিক দেলোয়ার হোসেন চুন্ন  সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি নন।

স্থানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান জানান, মারামারির ঘটনা ঠিক ভাবে ঘটেছে আমি জানিনা। পরে জানাবো এ বিষয়ে শেরেবাংলা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন আমাদের থানা এখনো অভিযোগ হয়নি অভিযোগ হলে আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব।

Link copied!