কারফিউ শিথিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে অফিস টাইম শুরু এবং শেষ হওয়ার পর যানজটের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যানজটে আটকে থাকা মানুষের কষ্ট আরও বাড়িছে তীব্র গরম।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে লক্ষ্য করা গেছে যানজট। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল ছিল কারফিউ। বিকেল ৩টার মধ্যেই অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অফিস শেষে কারফিউ শুরুর পূর্বে বাড়ি ফিরতে তাড়া ছিল অনেকেরই।
রাজধানীর মহাখালী, বনানী, এয়ারপোর্ট, উত্তরা সড়কে গাড়ির চাপ দেখা যায়। তাছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রধান সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ।
কোটা আন্দোলনের অস্থিরতা কাটিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ পর কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই যানবাহন চলতে শুরু করলেও আধা ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বর মোড়, মিরপুর-সেনানিবাস স্টাফরোড, স্টাফরোড-বনানী ও প্রগতি সরণিতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে প্রাইভেট কারে বনানী যেতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এক যাত্রী। অন্য দিন এই পথ যেতে সময় লাগে আধাঘণ্টা। তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে খিলক্ষেত-বিশ্বরোড পর্যন্ত যানজট। ভেবেছিলাম কারফিউ শুরু হওয়ার আগেই বাসায় পৌঁছাব। কিন্তু এখন রাস্তার অবস্থা দেখে সেটা সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
বনানী মোড়ে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, গত দুই দিন ধরে অফিস শেষ হওয়ার পরই রাস্তায় গাড়ির ব্যাপক চাপ থাকে। তবে সেটা সন্ধ্যার মধ্যেই কেটে যায়। সন্ধ্যার পর রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানজট সহনীয় মাত্রায় থাকে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :