গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোন স্থান নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রে "স্বাধীনতা বিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রতিক তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা" বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
তাপস বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, বিএনপি-জামাত চক্র ধ্বংসলীলা চালিয়ে, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করেছে। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। তাদেরকে ঢাকাবাসী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। তারা গণতান্ত্রিক ধারা ভুলুণ্ঠিত করে সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছে। তাদেরকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরে আসার আহবান জানাই। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোন স্থান নেই। গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে না এলে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে অনুরোধ জানাই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীরা রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। যার ফলে মেহনতী মানুষ, দিনমজুর, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তাই, সাধারণ মানুষের কষ্ট নিবারণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
সকল অশুভ শক্তিকে ঐকবদ্ধভাবে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিহত করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়ে আইসিউতে আছে। তারা ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে ঢাকায় জড়ো করেছে। কিন্তু আমরা পরাজিত হইনি। আমরা সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করেছি। অচিরেই এদের খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সকল অশুভ শক্তিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীতে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও ১ কেজি লবণ রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :