ঢাকার পিলখানা ও এলিফ্যান্ট রোডের নামকরণের রহস্য
পিলখানা
পিলখানা নামটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে। ফারসি ভাষায় ‘পিল’ অর্থ হাতি আর ‘খানা’ অর্থ জায়গা। পিলখানা মানে হাতি রাখার জায়গা। মুঘল শাসকদের খুব পছন্দের একটি খেলা ছিল হাতির লড়াই। তাই সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতি এনে রাখা হতো ধানমণ্ডির একটি এলাকায়। যা পরবর্তীতে লোকমুখে পরিচিতি পেয়ে যায় ‘পিলখানা’ হাতি রাখার জায়গা হিসেবে।
ঢাকার আশেপাশের জমিদাররাও তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের হাতিগুলোকে অর্থের বিনিময়ে পিলখানায় পোষ মানানো ও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাতেন। পিলখানার এই হাতিগুলোর দেখভালের জন্য ১৮৮১ সালে ঢাকার খেদা বিভাগে একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, একজন হেড এসিস্ট্যান্ট, দুইজন ভেটেরিনারি সার্জন, তিনজন ক্লার্ক, একজন পশু হিসাবকারী এবং বেশ কয়েকজন মাহুত নিযুক্ত ছিল।
এলিফ্যান্ট রোড
উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ঢাকার ধানমন্ডির পিলখানার হাতিগুলোকে রমনা অঞ্চলে চারণের জন্য নিয়ে যাওয়া হত। হাতিরঝিলে গোসল করানো হতো। সন্ধ্যা নামার আগেই হাতির দলগুলোকে পিলখানায় নিয়ে আসা হতো। হাতি চলাচলের কারণে রাস্তাঘাটের যে ক্ষয়ক্ষতি ও উপদ্রব সৃষ্টি হতো সেই সম্পর্কে জনগণ নিয়মিত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতো। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮৬৪ সালে মিউনিসিপ্যালিটি প্রতিষ্ঠার পর কর্তৃপক্ষ ঢাকার উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক এলাকা দিয়ে রমনায় যাওয়ার একটি আলাদা রাস্তা তৈরি করে যার নামকরণ করা হয় ‘এলিফ্যান্ট রোড’। নিউমার্কেট এলাকা থেকে রমনা পর্যন্ত এলিফ্যান্ট রোড আজও বিদ্যমান।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :