বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের ফলে রাজধানীতে সকাল থেকে কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় মানুষ কম থাকায় আয় কমেছে রিকশাচালক ও গণপরিবহন চালকদের। ভোগান্তি বেড়েছে ফুটপাতে হকারদেরও।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন রাজধানীর মহাখালী, মগবাজার, পল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, মৌচাক ঘুরে ভোগান্তির এই চিত্র দেখা গেছে।
মগবাজার মোড়ে রিকশাচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, শনিবার থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা থামছে না। শরীর গরম হয়ে আছে। রাস্তায় মানুষ তুলনামূলক কম। ভাড়া বেশি পাইনি। দুপুর থেকে ভেজা শার্ট-লুঙ্গি পরে রিকশা চালাচ্ছি।
বিজয়নগর মোরে রিকশাচালক বদরুদ্দিন বলেন, গায়ে রেইনকোট দিয়েও নিস্তার নেই। গায়ে পানি ঢুকছে। এভাবে চলতে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবো। রিকশা না চালিয়ে ঘরে বসে থাকলে ভাত খাবো কোথা থেকে? সকাল থেকে ৩০০ টাকার ভাড়া পাইছি।
পুরানা পল্টন মোড়ে আনারস-পেপে বিক্রেতা সারোয়ার বলেন, কাস্টমার কম। বিক্রি ভালো না। একদিন বিক্রি না হলে পরদিন মাল আনার টাকা থাকে না।
এদিকে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে আয় কমেছে পরিবহন চালকদের। মনজিল পরিবহনের চালক মনির হোসেন জানান, বৃষ্টিতে রাস্তায় মানুষ কম। সকালে অফিসগামী কিছু যাত্রী ছিল। এরপর থেকে যাত্রী কমেছে। যারা বের হওয়ার তারা প্রাইভেটকার কিংবা রিকশায় উঠে। বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করে না।
পাঠাও চালক বাদল বলেন, রাস্তায় যাত্রী আছে কিন্তু উঠাতে পারিনা বৃষ্টির কারনে। চলতি পথে দু-য়েকজন পাই। গত দুদিন থেকে এভাবেই চলছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি গভীর নিম্নচাপ গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ওডিশা ভূখণ্ডে উঠে স্থলনিম্নচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে দেশের উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :