সম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুতই সটকে পড়ছে অপরাধী চক্র। এ সব ঘটনা অধিকাংশ ঘটছে রাতের বেলা। এতে আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করছেন নগরবাসী। ভুক্তভোগীরা মামলা না করলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দুর্বল নজরদারিতে নতুন ছক কষছে অপরাধীরা।
গত সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানী ধানমন্ডি এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায় ধানমন্ডি ১১ নম্বর রোডের মোড়ে হঠাৎ এক রিকশা আরোহীকে ঘিরে ফেলে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চারজন যুবক। মুহূর্তেই রিকশায় থাকা ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায় তার সাথে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগসহ সব কিছু।
হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছিনতাই ও হামলার শিকার ওই রিকশা আরোহী। শুধু ধানমন্ডি নয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি বেড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করেও ঘটেছে ডাকাতির ঘটনা।
এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই মোটরসাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে ছিনতাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসার আগেই পালিয়ে যায় অপরাধীরা। তাই রাতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের।
একটি সূত্র থেকে জানা যায় আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর- এই তিন মাসে এমন ঘটনায় মামলা হয়েছে মাত্র ৪৪টি।
অপরাধ বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হকের মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরদারি কমে গেছে। এই সুযোগে অপরাধীরা তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে। আর জটিলতা এড়াতে আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের নির্মূলে বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলছে ডিএমপির উপ কমিশনার তালেবুর রহমান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা না বাড়ালে এমন অঘটনের পুনরাবৃত্তি ঠেকানো কঠিন হবে বলেও সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :