“প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার,
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জর্ডানের আম্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। আলোচনা, মতবিনিময় সভা ও প্রবাসী কর্মীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। অতপর প্রবাসী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের মান্যবর রাষ্ট্রদূত নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়।
দূতাবাসে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত নুরে হেলাল সাইফুর রহমান বলেন, “জর্ডানে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সারা বিশ্বের অভিবাসীদের অবদান অপরিসীম। সকল অভিবাসী বাঙ্গালীর পরিশ্রম ও ত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। এই অভিবাসী দিবসে জর্ডানে কর্মরত সকল বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের এই রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছে, বিধায় আপনারা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন যাত্রার গর্বিত অংশীদার হবেন, এই প্রত্যাশা করি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদান প্রত্যেক বাংলাদেশীর অধিকার। প্রবাসে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছে। কিন্তু তারা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করবো। এছাড়াও দেশে অর্থ প্রেরণে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন আইনি জটিলতার শিকার হয়ে থাকেন। আমরা এই বিষয়ে অবগত আছি ও তা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।”
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম), উম্মে সালমা বলেন, “জর্ডানের পোশাক খাতে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। এছাড়াও গৃহপরিচারিকা, আবাসন ও অন্যান্য ব্যবসায় অনেক বাংলাদেশী রয়েছে। জর্ডানে কর্মরত বাংলাদেশী অভিবাসীদের অধিকার, সমস্যা ও প্রতিকার নিয়ে আমরা সর্বদা সচেতন আছি। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে সবসময় আছি ও থাকবো। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা জর্ডানে অবৈধভাবে কাজ করবেন না। চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির আওতায় বৈধভাবে আয় রোজগার করবেন। আপনাদের উপার্জিত অর্থ বৈধ উপায়ে দেশে পাঠাবেন। আপনাদের এই কষ্টে উপার্জিত অর্থই আমাদের অর্থনীতিকে বলিষ্ঠ ও মজবুত করছে। আপনাদের সকলকে অভিবাসী দিবসের শুভেচ্ছা।”
বক্তব্য শেষে, জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও জর্ডানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :