রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৩-২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের এবং ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে শহীদ আনাসের পিতাকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভার মূল প্রতিজ্ঞা ছিল "বইয়ের পাতায় লিখবো তোমাদের কথা" স্লোগানটি সামনে রেখে বীর শহীদদের আত্মত্যাগকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
বাপুসের সভায় সংগঠনের ঐতিহাসিক ভূমিকা, দেশের শিক্ষার উন্নয়নে অবদান, এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১৯৬৭ সালে যাত্রা শুরু করা এই সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই বিতরণ এবং বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসারে কাজ করে আসছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে "ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন" এবং "এশিয়ান পাবলিশার্স" এর সদস্য হিসেবে `বাপুস` দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে দাবি করেন বক্তারা।
সভায় বক্তারা প্রকাশনাশিল্পের সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা উল্লেখ করেন, দেশের লক্ষাধিক শ্রমিক, মুদ্রণশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্রকাশনাশিল্প গড়ে তোলা অপরিহার্য।
বাপুসের সভাপতি সংগঠনের অরাজনৈতিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ৫ আগস্ট ২০২৪-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সমিতির কার্যালয়ে হওয়া হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি সকল সদস্যের সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
শেষে, আগস্ট বিপ্লবের শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রকাশক ও বিক্রেতাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় প্রতিজ্ঞা করা হয়, পাঠ্য ও সৃজনশীল বইয়ের বাজার ব্যবস্থাকে সচল রাখতে বাপুস নিরলস কাজ করে যাবে।
এ সময় সারা বাংলাদেশ থেকে আগত পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) এর নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু
আপনার মতামত লিখুন :