রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে দুই সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও চাপাতি।
গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের পাঁচ নম্বর রোডে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছেন, যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। এরপর আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তাতে সাড়া না দিয়ে যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্র-গুলিসহ ৫ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় দুই জনের মরদেহ।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান বলেন, আমরা পাঁচজনকে বাসার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করি। এরপর তাদের নিয়ে আমরা বাসার ছাদে উঠি। সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত দুটো বডি দেখতে পাই। তাদের একজনের হাতে পিস্তল, আরেকজনের হাতে চাপাতি দেখতে পাই। তাদের সঙ্গে আরও একাধিক লোক ছিলো, যারা বাসার বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাজধানীবাসী বলছে, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। অপরাধ দমনে এমন অভিযান চলমান রাখার দাবি জানিয়েছে তারা।
মোহাম্মদপুরের এক দোকানদার বলেন, আমাদের এই এলাকায় সন্ত্রাসী অনেক বেড়ে গেছে। তাদের যন্ত্রণায় কোথাও ঠিকমতো চলাফেরা করা যায় না। যখন তখন ছিনতাই করে, টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এক নারী বলেন, রাস্তাঘাটে যখন তখন মারামারি-কোপাকুপি শুরু করে দেয়। আমরা তো দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এর আগে সোমবার মোহাম্মদপুরের আতঙ্ক কিশোর গ্যাং প্রধান কবজি কাটা আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
একুশে সংবাদ //এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :