ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, রমজানের তাৎপর্যকে অনুধাবন করে সিয়াম সাধনা করতে হবে। রোজা যেন কেবল লৌকিকতায় পরিণত না হয়।আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা দেন তুর্কি দিয়ানেত ফাউন্ডেশন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রমজানের সুষমাকে ধারণ করে জীবনের প্রতিটি বাঁকে পরিশুদ্ধি আনতে হবে। আমাদের চরিত্রে নৈতিকতার উজ্জীবন ঘটাতে হবে এবং সুকুমার বৃত্তিকে জাগ্রত করতে হবে। চরিত্রের কূপ্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখতে হবে।
রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করাকে দুর্ভাগ্যজনক অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে লুটেপুটে খাওয়ার অশুভ মানসিকতা পরিহার করতে হবে। আমরা দায়িত্ব পেলে ওপরেরটিও খাই, তলারটিও কুড়ায়। এই কালচার থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি রমজানের ত্যাগের মহিমায় চরিত্রের মন্দ দিকগুলো পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানান।
ড. খালিদ বলেন, রমজানের সিয়াম সাধনা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, কেবল আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য। তিনি সকলকে সিয়াম সাধনার আল্লাহর সন্তুষ্টির পাশাপাশি সমাজে সম্প্রীতির বার্তা ও ভ্রাতৃত্বের সৌরভ ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি সরকারের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানামাত্রিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে দিয়ানেত ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এ ইফতার মাহফিলকে বাংলাদেশ ও তুকি দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নিয়াজ আহমদ খান ও বাংলাদেশে দিয়ানেত ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি অঘুজহান আদসিজ। এ অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর জোবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি সায়মা হক বিদিশাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :