AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুমকী শিক্ষকদের


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২:৩৩ পিএম, ৮ মার্চ, ২০২৫
ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুমকী শিক্ষকদের

শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ আসন্ন ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধানসহ ১০ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। ঈদের আগে এসব দাবি মানা না হলে ঈদের পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কমচারীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করার হুমকী দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।


শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘শফিকুল কবির মিলনায়তন’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড’। আর শিক্ষক হচ্ছেন ‘শিক্ষার মেরুদণ্ড’, সমাজ ও সভ্যতার বিবেক এবং জাতি গঠনের স্থপতি। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাত্র ১,০০০/- টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫% উৎসব ভাতা এবং ৫০০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। 

এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয় এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। তিনি বলেন, এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ মাত্র ১২,৫০০/-প্রারম্ভিক বেতনে শত-শত মাইল দূরে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। 

তাছাড়া বিগত সরকার কোন প্রকার সুবিধা না দিয়েই সম্পূণ অবৈধভাবে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করছে যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)‘র নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করেছিলেন। পরিতাপের বিষয় অদ্যাবধি কোন প্রতিকার পায়নি। সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। যার ফলে শিক্ষক-কমচারীদের মাঝে হতাশা বিরজ করছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)‘র পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।


বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের ১০ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-১. মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা। ২.আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিসা ভাতা প্রদান করা। ৩. ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। ৪. সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের ‘প্রধান শিক্ষক’ -এর বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল প্রদান করা। ৫. এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা। ৬. সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদানসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা। ৭. শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় ৬৫ বছরে উন্নীতকরা। ৮. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা। ৯. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিচালনা করা। ১০. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা। এসব দাবি মানা না হলে আগামী ১২ মার্চ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান। আগামী ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় দেশের সকল জেলা ও বিভাগীয় সদরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক/বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান।


সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আল মামুন জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া, উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আলী আহামেদ, অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, সহ সভাপতি বেগম নূরুন্নাহার, মো. গোলাম রববানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইকবাল হোসেন, শিমুল কান্তি মহাজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরুল আমীন রতন, মোহাম্মদ আসাদুল আলম, অর্থ সম্পাদক প্রবীর রঞ্জন দাস, প্রচার ও প্রকাশন সম্পাদক মো. মহিদুর রহমান মুরাদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওবায়দুর রহমান, মহিলা সম্পাদক তুহিনা আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যপক আবু জামিল মো. সেলিম প্রমুখ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!