শীতের শেষে বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন নানা সবজি, তবে স্বস্তির বদলে ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বাড়তি দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বাড়লেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে মুরগির দামে।
সবজির বাজারে আগুন
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শেওড়াপাড়া, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী।
ঝিঙা: ৮০–৯০ টাকা/কেজি
লাউ (প্রতি পিস): ৭০–৮০ টাকা
বেগুন: ৮০–১২০ টাকা/কেজি
করলা: ৮০ টাকা/কেজি
পটোল: ৬০–৭০ টাকা/কেজি
শজনে: ১৪০–১৬০ টাকা/কেজি
কাঁচা মরিচ: ১০০–১২০ টাকা/কেজি
দেশি শসা: ৮০ টাকা/কেজি
পেঁয়াজ, চাল ও তেলেও চাপ
দেশি পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১৫–২০ টাকা।
পেঁয়াজ: ৫০–৫৫ টাকা/কেজি (আগে ৩৫–৪০ টাকা)
মিনিকেট চাল: প্রতি কেজিতে বেড়েছে আরও ২–৩ টাকা
বোতলজাত সয়াবিন তেল: ১৮৯ টাকা/লিটার (বৃদ্ধি ১৪ টাকা)
পাম তেল: বেড়েছে ১২ টাকা/লিটার
স্বস্তি মুরগির দামে
ব্রয়লার মুরগি: ১৬০–১৭০ টাকা/কেজি (আগে ২২০–২৩০ টাকা)
সোনালি মুরগি: ২২০–২৬০ টাকা/কেজি
ভোক্তাদের ক্ষোভ
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের এই দামের উর্ধ্বগতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
শেওড়াপাড়ায় বাজার করতে আসা মামুন নামের একজন বলেন, ‘নতুন করে কারসাজি শুরু। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সরকাররে দেখা উচিত।’
সামগ্রিকভাবে, তেল, চাল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বেড়ে গেলেও মুরগির দাম কিছুটা কমায় সাময়িক স্বস্তি মিলছে। তবে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ ভোক্তারা আরও বিপাকে পড়বেন বলেই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :