যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) রাজধানীর মিরপুর-১১ পলাশ নগরে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান। ডিএনসিসির ২, ৩, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় সাতটি প্যাকেজের আওতায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৫ কিলোমিটার নর্দমা এবং ১৩ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ডিএনসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করে। আজ বেলা ১১টার পরে পলাশ নগরে এসে দেখি রাস্তায় আবার প্রচুর ময়লা। মাত্র তিন ঘণ্টায় রাস্তায় ময়লা জমেছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করুন। যার যার সোসাইটি পরিষ্কার রাখুন, তাহলে ঢাকা শহরও পরিচ্ছন্ন হবে। উন্নত দেশের সাথে আমাদের শহরের প্রধান পার্থক্য—তাদের রাস্তা পরিষ্কার, আর আমাদের রাস্তায় ময়লা পড়ে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন প্রায় ৮ লাখ টন ময়লা সংগ্রহ করছে। সবাই নিজ নিজ বাসাবাড়ির সামনের রাস্তা পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির ময়লা রাস্তার পাশে ফেলে দেবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা তা সংগ্রহ করবে।”
মিরপুরের অতীত পরিবেশের কথা স্মরণ করে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “আগে মিরপুরে অনেক গাছপালা ছিল, তাই তাপমাত্রাও ছিল সহনীয়। এখন গাছ কমে যাওয়ায় এলাকা অনেক গরম হয়ে গেছে। তাই ছাদে গাছ লাগান, বাড়ির সামনে বা বারান্দায় টবে গাছ লাগান। ছাদবাগান করা হলে ভবিষ্যতে গ্রীন বিল্ডিং হিসেবে কর ছাড়ের প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব আমি বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপন করবো।”
তীব্র গরমে পথচারীদের জন্য পানি সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ আছেন, যারা কিনে পানি পান করতে পারেন না। তাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পথচারীদের জন্য পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করুন। পাশাপাশি পাখি, কুকুর, বিড়ালসহ অন্য প্রাণীদের জন্যও বারান্দা বা বাড়ির সামনে পাত্রে পানি রাখুন।”
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, “আপনাদের এলাকায় যদি অবৈধ অটোরিকশার গ্যারেজ থাকে, আমাদের জানান। আমরা তা বন্ধ করে দেব। বাড়ি মালিক সমিতির উদ্যোগে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। বুয়েটের সহায়তায় নতুন ডিজাইনের অটোরিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স দেয়া হবে, তবে প্রধান সড়কে চলাচল করতে দেয়া হবে না।”
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং একটি দোয়ার আয়োজনে অংশ নেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, পলাশ নগর বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :