চট্টগ্রামের পাহাড়ে এখনো ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য মানুষ বাস করছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ স্থায়ী ঠিকানায় পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন।
আর জেলা প্রশাসন বলছে, চলতি বছরই ভূমিহীনরা পাবে ঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলে শহর ছেড়ে নিজ স্থানে যেতে রাজি পাহাড়ের বাসিন্দারাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি পাহাড়ের প্রতিটির পাদদেশই যেন একেকটি মৃত্যুকূপ। মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে এসব স্থানে বসবাস করছে অন্তত দুই হাজার পরিবার। প্রতিটি পরিবারে গড়ে চারজন হিসাবে এই ৩৪টি মৃত্যুকূপে অবৈধভাবে বসবাস করছেন প্রায় আট হাজার মানুষ। এমনকি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো উচ্ছেদ করতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ নিয়ে পাহাড়েই বসবাস করছে শত শত পরিবার। এ কারণে ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনা।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৫তম সভায় এসব মানুষের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়েছে নানা সিদ্ধান্ত। বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিজ নিজ এলাকায় পুনর্বাসন করবে সরকার। ’
এ বছরেই ভূমিহীনদের ঘর দেওয়া হবে। এদিকে অবৈধভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীরা বলছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেই শহর ছাড়তে রাজি তারা।
আর যারা পাহাড়ের জায়গা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, ওই সব পাহাড় খেকোদের খুঁজে বের করতে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
একুশে সংবাদ.কম/নি.বিডি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :