ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদের কেনাকাটা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন বিপণিবিতানে। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে স্বজনদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। একইভাবে জমে উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের ঈদ কেনাকাটা। ফুটপাতের এসব দোকানেও উপচেপড়া ভিড়।
জেলা শহর ছাড়াও ললছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। দোকানে আকর্ষণীয় পোশাক থাকলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
সরেজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দিনের চাইতে রাতে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বেশি দেখা যায়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। রোজা, গরম ও কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকা রাতেই কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে।
তৌহিদুল নামের এক ক্রেতা বলেন, স্বজনদের নিয়ে কেনাকাটার জন্য রাতে বের হয়েছি। টানা দাবদাহে ঘরে থাকাই কষ্টকর। রোজা রেখে দিনে কষ্ট হয়ে যায়।
বেলায়েত হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, দিনে এতোটাই গরম থাকে নারী ও শিশুদের নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না। সুগন্ধা নদীর ওপারের পোনাবালিয়া গ্রাম থেকে নদী পাড়ি দিয়ে রাতে কেনাকাটা করতে এসেছি।
জারা কসমেটিকসের মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, জামা-কাপড় ও জুতা কেনাকাটা শেষ করে কসমেটিকস কিনবে। তার ওপর প্রচণ্ড গরম। গরমে দিনে আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি।
লিটন নামের এক জুতা দোকানি বলেন, বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকতো। এতে দিনে মানুষ বাড়তো বেচাকেনাও কিছুটা ভালো হতো।
হাজী জয়নাল কমপ্লেক্সের শরীফ বস্ত্র বিতানের সত্ত্বাধিকারী মো. শামিম শরীফ বলেন, সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়-ক্ষমতা বিবেচনা করে দোকানে মালামাল তুলেছি। ৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে ছেলে-মেয়েদের পোশাক তুলেছি। বেচাকেনায় বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি।
কুমার পট্টির পোশাকের দোকান ‘রঙ’-এর মালিক মো. রাকিব হোসেন বলেন, গত দুদিন বিক্রি বেড়েছে। তবে ক্রেতাদের একটা অংশ অনলাইনে শপিং করছেন। আমাদের দোকানে এসেও অনলাইনের মতো পণ্য চাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :