লালমনিরহাটের আদিতমারীতে রাস্তার পাশের সরকারি পুরোনো গাছ গভীর রাতে কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভাদাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত রায় বিধুরের বিরুদ্ধে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ফাকে পুলিশের বাধার মুখে সিন্ডিকেট করে টিন দিয়ে ঘিরে ফেলে গাছটি কেটে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তদন্ত করে বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যানের সাথে সাবেক ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুজন,তপন,অতুলসহ বেশ কিছু লোক ছিলো।
জানা যায়, স্থানীয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম মঞ্জু বুড়িরবাজার এলাকায় সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। মার্কেট সংলগ্ন সড়কের দের ফিটের মধ্যে পুরোনো একটি ঔষধি বৃক্ষ হরিতকির গাছ ছিলো। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ফাকে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সেই গাছটি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটার দিকে কাটতে শুরু করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানালে আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক হামিদুল ইসলাম সেখানে গিয়ে গাছ কাটতে মানা করেন। পুলিশের বাধা পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে গাছের চারপাশে ১০ ফুট উচু টিনের বেড়া দেওয়া হয়। বেড়ার আড়ালে গাছ কেটে ফেলা হয়। সর্বশেষ গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পুরো গাছ কেটে সড়িয়ে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক হামিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে গাছের ডাল কাটার খবর পাই। পরে সেখানে গিয়ে গাছ যাতে না কাটা হয় তা বলে আসি।
ব্যবসায়ী সৈয়দ নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমি মার্কেট করতেছি কিন্তু সরকারি গাছে হাত দেওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। আমি বিপদে পড়তে চাইনা। কে বা কারা গাছ কেটেছে তা আমি জানিনা। কাজের স্বার্থেই আমি টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছি।
এ বিষয়ে ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান কৃঞ্চ কান্ত রায় বিধুর বলেন, গাছটি ঝুকিপূর্ণ ছিলো। তাই কেটে আনা হয়েছে। গাছের অংশগুলো ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। বন বিভাগকে জানানো হয়েছিলো কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইমারজেন্সি হলে আগে সড়ানো জরুরি, তাই কাটা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারওয়ার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ.কম/স.ই.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :