আইকনখ্যাত কৃষকলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে এমপি নির্বাচন করতে চান। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারণ করে যিনি দীর্ঘ ৪৩ বছরের অধিক সময় থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়। স্থানীয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতির পর যুব লীগের রাজনীতি শুরু করলেও ব্যক্তিগত সততা ও দলের প্রতি একনিষ্ঠতার গুনে পর্যায়ক্রমে তিনি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের পর পর দুবার অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি নাসিরনগর এলাকার মানুষের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে কাজ করছেন। আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া নিজে যেমন বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করেছেন, ঠিক তেমনি সেই আর্দশের প্রতি অনুপ্রানিত করতে পেরেছেন হাজার হাজার যুবকের মাঝে। অনেকে মনে করেন, নাজির মিয়ার সততা ও দলের প্রতি আন্তরিকতার কারণে নাসিরনগরের আওয়ামী লীগের অবস্থা অন্য যে কোনও সময়ের থেকেও শক্তিশালী।
ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী এ নেতা গোটা ব্রাহ্মনবাড়িয়াবাসির গর্ব। তার পিতা মৃত হাজী মোঃ অলি মিয়া ও পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।তার সহধর্মিনী নাসিরনগর উপজেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তারের পিতা প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ)গোলাম নূর ছিলেন নাসিরনগর আওয়ামী লীগের সমর্থনে নির্বাচিত বিপুল জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান।
আওয়ামী ও মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে দলের চরম দূর্দিনের সময় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির প্রতি প্রচণ্ড আত্ববিশ্বিাসী এ কৃষকলীগ নেতা জনসেবায় নিজেকে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। তার ব্যক্তিগত অফিস ও বাসভবনে গিয়েও এমন চিত্র দেখা যায়। বর্তমান স্থানীয় এমপি থাকা সত্বেও লোকজন বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিতে আসেন তার নিকট। সদালাপি ও ধৈর্য্য ধরে কথা শোনার কারণে মানুষেরও আগ্রহে থাকছেন সবসময়।
কেন এমপি হতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে নাজির মিয়া বলেন, আসলে এমপি হতে চাই এ অঞ্চলের মানুষের সেবার জন্যই। মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে এমন ব্রত নিয়েই এলাকার সাধারণ মানুষ, স্কুল কলেজের শিক্ষক-ছাত্র থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সমাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেক দিন থেকেই বলছেন। আমি তাদের বলেছি নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য আগে ততোটা না হলেও এখন আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।
তিনি আরো বলেন, অন্তত গত দুই বছর যাবত নাসিরনগরের জনগণ আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা দিতে থাকে। এখন আমার নিজেরও উপলব্ধি বেড়েছে। আমি এ পর্যন্ত যতটি উঠান বৈঠক করেছি প্রতিটিই ছোট খাটো জনসভায় রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলা আ. লীগের সম্মেলনে আমার আহবানে আমার স্ত্রী রোমা আক্তারের পক্ষে যেভাবে নাসিরনগর উপজেলাবাসি সতস্ফুর্ত সমর্থন দিয়ে সমবেত হয়ে জনসমুদ্র তৈরী করে জনপ্রিয়তার এক নতুন অধ্যায় রচিত করেছে, সেটা একটা ইতিহাস। সেজন্য আমি নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগরবাসি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমি আল্লাহর দরবারে হাজার শুকরিয়া জানাই যে, এ এলাকার অধিকাংশ মসজিদ মাদ্রাসার ইমাম সাহেবেরা আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে প্রচারসহ দোয়া খায়ের করছেন। এটাই আমার শক্তি।
রাজনীতির পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১,নাসিরনগর আসন এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িয়েছেন এ মনোনয়ন প্রত্যাশী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দির নির্মাণে স্মরণীয় অবদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে গরীব দুখীদের চিকিৎসা সহায়তা,নগদ আর্থিক অনুদান, করোনাকালিন মানবিক সহায়তা, শীত বস্ত্র বিতরন ইত্যাদি সামাজিক কর্মকান্ডের কারনে ব্যাপক প্রশংসিত তিনি।
এছাড়াও বিপথগামী কিছু রাজনৈতিকের রাজাকার ঘেষা হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী পালন ও তাদের দ্বারা ঘুষ, দুর্নিতি সহ নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে স্থানীয়ভাবেও ব্যাপক গ্রহণযোগ্য তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১(নাসিরনগর) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পরিবর্তনের গুঞ্জন বেশ জোরালো। এমন অবস্থায় যে কয়জন প্রার্থী এ আসন থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন তাদের মাঝে ভালো একটি অবস্থানও তৈরি করতে পেরেছেন নাজির মিয়া ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ সহ সব সংগঠনের লোকই আছেন তার সঙ্গে। তার অনুসারীরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অপরাপর প্রার্থীর থেকে এবার নাজির ভাইয়ের কোনও বিকল্প নেই।
একুশে সংবাদ/নি.চ.প্রতি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :