মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মাসুদ খান। ঢাকা আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসের পাশে একটি কম্পিউটারের দোকানের কর্মী ছিলেন মাসুদ খান।
নিহত মাসুদ খানের মা সুফিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মাসুদ আমার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। এমএ পাস করে ঢাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনে একটি দোকানে কাজ করত সে। মাসুদ প্রতি বৃহস্পতিবারে বাড়িতে আসত আমাকে দেখতে। সে আজকে বাড়ি থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। আগামী সপ্তাহে বাড়িতে আসার সময় সে আমার জন্য রোজার বাজার ও ওষুধ নিয়ে আসতে চেয়ে ছিল। আমার সন্তান নেই, তাহলে আমার বাজার-ওষুধ কিনে দেবে কে?
উল্লেখ্য, রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালকসহ ১৫ যাত্রী নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে শিবচর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/হু.আ.ক.প্রতি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :