যার হারায় সে বুঝে হারানোর ব্যাথা। হোক মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান কিংবা মূল্যবান জিনিস। মৃত্যু হলে আর ফেরত পাওয়া যায় না। তবে প্রাণহীন কোনো মূল্যবান বস্তু বা জিনিস ফেরত পেলে অনুভূতিটাও অন্যরকম। সেটি কোনো গাড়ি হোক, কিংবা গাড়িতে হারানো ব্যাগ বা মোবাইল; বলছিলাম হারানো মোবাইল ফোন পনের দিন কিংবা তিন মাস পর ফিরে পাওয়ার পর অনুভূতির কথা। যিনি পাচ্ছেন তার পাওয়ার অনুভূতি আর যিনি মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হারানো মূল্যবান মোবাইলফোন উদ্ধার করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তার আনন্দ।
জানা গেছে, নিজের মোবাইল ফোন হারিয়ে হারানো মোবাইল কিভাবে উদ্ধার করা যায় সে দিকে মনোযোগী হন এএসআই আনিসুর রহমান। এরপর থেকে হারানো মোবাইল উদ্ধার করা যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি বর্তমানে বন্দর থানায় কর্মরত আছেন। কর্মজীবনে প্রায় হাজারের বেশী মোবাইল উদ্ধার করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে মুঠোফোন উদ্ধার করেন। তার ৮ বছরের কৃতিত্ব হলো প্রায় হাজারের বেশী মোবাইল উদ্ধার করে গ্রাহকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সিএমপি কর্তৃক পুরুষ্কৃতও হয়েছেন। গত দুমাসে প্রায় ৭০ টিরও বেশী ফোন উদ্ধার করেছেন যা গড়ে প্রতিদিন ১টি বা দুটির বেশী৷ শখের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি ফিরে পেয়ে বেজায় খুশিও হন গ্রাহকরা।
প্রতিদিন প্রায় শখানেক মেসেজ কিংবা কল আসে তার মোবাইলে। তখনি তিনি বুঝতে পারেন হয়তো আবার কারো শখের মোবাইল উদ্ধার করতে হবে তাকে। থানায় হারিয়ে যাওয়া কোন মোবাইলের অভিযোগ আসলেই ওমনিই যেন উঠে আসে তার নাম।
অবশ্য হারানো মোবাইলটি উদ্ধারপূর্বক ফেরত দিতে পেরে খুশিও হন তিনি। তার ইচ্ছা পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাকীটা সময় এভাবেই যেন সেবা দিতে পারেন মানুষকে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :