কথায় আছে, কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। তীব্র গরমে পুড়ছে নগরজীবন, অস্বস্তিতে আছেন সবাই। তবে সবাই অস্বস্তিতে থাকেলেও স্বস্তিতে লেবুর শরবত বিক্রেতারা। তেমনি এক শরবত বিক্রেতা চট্টগ্রামের শরীফ। বয়স কম হলেও শরীফের এখন মাসে আয় ৫০ হাজার টাকার বেশী।
গরমে সবার কপাল পুড়লেও যেন কপাল খুলেছে এই সরবত বিক্রেতার। পুজি বলতে মাত্র কয়েকটা লেবু, চিনি আর একটি ফিল্টার। আর এই পুজি দিয়ে গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার শরবত বিক্রি করে শরীফ। চট্টগ্রাম নগরীর বাদামতলীর মোড়ে ভ্যানগাড়ীর উপর ভাসমান শরীফের এই সরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম মাত্র ৫ টাকা। আর এই ৫ টাকার শরবত খেতে যেন রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। যেখানেই দেখছে শরবতের গাড়ি সেখানেই ভীড় করছে সবাই। প্রতিদিন ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ গ্লাস শরবত বিক্রি করে এই তরুণ।
দু ধরনের শরবত পাওয়া যায় তার ভ্যানগাড়ীতে। লেবুর শরবত ও ট্যাংক সরবত। লেবুর সরবত ৫ টাকা হলেও ট্যাংক সরবত ১০ টাকা। লেবু ও চিনি বাবদ প্রতি গ্লাস সরবত বানাতে তার খরচ পড়ে মাত্র দু টাকা আর বিক্রি ৫ টাকায়। এভাবেই খরচ ছাড়াই প্রতি মাসে শরীফের আয় ৫০ হাজার টাকার বেশী। শীত কিংবা বর্ষায় এই সরবতের কদর না থাকলেও গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয় এটি। আর তাইতো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সকল শ্রেনী পেশার মানুষদের সরবতের স্বাদ নিতে দেখা গেছে। সরবত খেয়েও খুশিও হন তারা।
শরীফের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়, মা বাবা আর এক ভাই নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন চট্টগ্রাম নগরীর মোগলটুলীতে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :