দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি`র ২৯ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল (১৬ মে) মঙ্গলবার দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনায়ও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। তাদেরও বহিষ্কার করা হবে বলে মনে করছেন খুলনা বিএনপি`র নেতারা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি`র সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে (৪ জন) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, (১৯ নং ওয়ার্ডে আশফাকুর রহমান কাকন), (২২নং ওয়ার্ডে মাহাবুব কায়সার), (২৪নং ওয়ার্ডে শমসের আলী মিন্টু) ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মাজেদা বেগম।
এর মধ্যে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন ওয়ার্ড বিএনপি`র আহ্বায়ক। ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুব কায়সার আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু ও মাজেদা বেগম বিএনপি`র কোনো কমিটিতেই নেই।
বিএনপি নেতারা জানান, গাজীপুরে সবাই কোনো না পদে ছিলেন। এজন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু খুলনায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের দুই জনের দলের প্রাথমিক কোনো সদস্য পদই নেই। তাদের বহিষ্কার নিয়ে হাস্যরস তৈরি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র আহ্বায়ক ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি। বিগত দুই বার বিপুল ভোটের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি এ ওয়ার্ডে। এবারও জয়ের সম্ভাবনা ছিলো তার। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমান মনি বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে নিজেকে কোরবানি দিলাম। ১৮ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ আমার সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছেন। তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।
খুলনা মহানগর বিএনপি`র আহ্বায়ক, এডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, দলের প্রতিটি সভায় নেতাদের বার বার নির্বাচনের বিষয়ে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা কাউন্সিলরদের বোঝানো হয়েছে। যারা কথা শোনেননি, তাদের বহিষ্কার করা ছাড়া উপায় নেই। প্রত্যাহার পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। এরপর কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবো।
একুশে সংবাদ/সা.ব.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :