খুলনা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পাইকগাছা পৌরসভার মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা ১৮ বছর পর উচ্চ আদালতের আদেশে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকার কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট মামলার পিটিশন মোতাবেক শনিবার (২০ মে) দুপুরে আদালতের আদেশ কার্যকর করা হয়। এ সময় ৩০ টি পাঁকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়। ১৯৮০ সালে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে একশ্রেণির লোক পার্কের জায়গা দখল করে পাঁকা স্থাপনা করতে থাকলে এর প্রতিবাদে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। হয় ব্যাপক আন্দোলন ও সংগ্রাম।
এ ব্যাপারে দখলবাজী বন্ধ না হওয়ায় সহকারী জজ আদালত পাইকগাছায় অবৈধ বন্দোবস্ত ও দখলকারিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হলে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করতে থাকলে সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫সালের ২৪মে মধুমিতা পার্কের অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ দেন। এরপরও অদ্যাবধি সকল কর্মকান্ড অব্যাহত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ১০২/২২ কন্টেম পিটিশন হলে শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এ্যাড.জি,এ সবুর ও পার্ক সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি এ্যাড. এফ,এম,এ রাজ্জাক বলেন, দেরিতে হলেও পার্কের জায়গা দখল মুক্ত হওয়ায় আমরাসহ পৌরবাসী খুশি।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :