উপকূলকে পিছিয়ে রেখে জাতীয় অগ্রগতি অসম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেছেন, জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের জনগণ সবসময় বৈষম্যের শিকার। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ দূর্যোগের ঝুঁকিতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। অবস্থায় ওই অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা ও দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
রোববার (২৮ মে) খুলনা অনির্বাণ লাইব্রেরি মিলনায়তনে উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, অনির্বাণ লাইব্রেরি এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত নাগরিক সংলাপে তারা এ সব কথা বলেন।
অনির্বাণ লাইব্রেরির সহ-সভাপতি ডা. বাসুদেব রায়ের সভাপতিত্বে ও সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র-এর সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মণ্ডল, অধ্যাপক বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কোষ্টাল ভয়েসের কৌশিক দেন, পাইকগাছা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, অনির্বাণ লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, ইউপি সদস্য শংকর বিশ্বাস, যুবনেতা প্রদীপ দত্ত, সচেতন সংস্থার সভাপতি বিদ্যুৎ বিশ্বাস, পরিবেশ কর্মী উত্তম সরকার, নদী কর্মী আলাউদ্দিন মোড়ল, সংস্কৃতি কর্মী গৌরাঙ্গ বিশ্বাস প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, আইলা, আম্পান, ইয়াসসহ একের পর এক দুর্যোগের কারণে ওই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি বেড়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। দুর্যোগ ও লবণ পানির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে। যে কারণে উপকূলীয় জনপদে সংকট বাড়ছে। তাই পরিবেশকে চিন্তার কেন্দ্র বিন্দুতে রেখেই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের পাপাশি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি উপকূলজুড়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা। তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূলে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী সম্প্রসারণ ও সুন্দরবন সুরক্ষার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষায় আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় দ্রুত উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।
একুশে সংবাদ/আজ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :