AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নদী ভাঙ্গনের দিশাহারা যমুনা পাড়ের মানুষ


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০৫:৩৩ পিএম, ৬ জুন, ২০২৩
নদী ভাঙ্গনের দিশাহারা যমুনা পাড়ের মানুষ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীরপাড়ের শত শত পরিবার। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ছাপড়া তুলে বাস করছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে শাহজাদপুরের খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে আরকান্দি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ভাঙনে অর্ধশত বাড়ি-ঘর ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে।

 

মঙ্গলবার  (৬ জুন) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে আরকান্দি এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জরুরি ভিত্তিতে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়। তবে জিও ব্যাগ ভরাট করতে ভাঙন এলাকার কাছ থেকেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, ভাঙন এলাকার ১০০ থেকে ১২০ গজ দূরে ডাম্পিংয়ের জন্য জিও ব্যাগে বালু ভরাট করতে নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা থেকেই বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঠিকাদার। এতে জিও ব্যাগ ফেলার দুই-একদিন পরেই আবার সেখানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ভাঙনরোধে নদীর পাড়ে বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করলেও তা কাজে আসছে না। কারণ যেসব স্থানে বস্তা ফেলা হচ্ছে দুদিন না যেতেই সেখানেই আবার ভাঙন দেখা দিচ্ছে। যমুনায় বিলীন হওয়া এলাকার ১০০ থেকে ১২০ গজের মধ্যে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে বস্তা ফেলার কয়েকদিন না যেতেই আবার ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে।

 

তবে ভাঙন এলাকায় বস্তা ফেলার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত প্রতিনিধিরা  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বস্তায় ভরে নদীর পাড়ে ফেলা হচ্ছে। কোথাও বালু বিক্রি করা হচ্ছে না।

 

শাহজাদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, ভাঙন এলাকা থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানার পর খুকনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নেওয়া জন্য বলা হয়েছে।

 

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন বলেন, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলার কাজ শুরু করেছে। এতে দ্রুতই ভাঙন দূর হবে। তবে ওই এলাকা থেকে যদি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাঙন এলাকার পাশ থেকে বালু উত্তোলন করে জিও ব্যাগে ভরে তা ডাম্পিং করা হলে আবার ভাঙন দেখা দেবে। ঠিকাদার এমন কাজ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

 

একুশে সংবাদ/ম.দ.প্র/জাহা

Link copied!