হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত সুন্নতে খাতনার কাজ করছেন কর্মরত নাইটগার্ড মোঃ আব্দুল্লাহ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন নাইটগার্ড কোনো অবস্থাতেই সুন্নতে খাতনার কাজ করতে পারেন না।
নাইটগার্ড মোঃ আব্দুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের পেশেন্ট টেবিলে সুন্নাতে খাতনার কাজ করেন। কোনোকোনো দিন ৩/৪ টি খাতনার কাজও করেন তিনি। এ কাজে তাকে একশ্রেণীর দালাল সহযোগীতা করে থাকে। দালালেরা নির্দিষ্ট অংকের কমিশনের বিনিময়ে আব্দুল্লাহর কাছে সুন্নাতে খাতনার উপযুক্ত শিশু কিশোরদের নিয়ে আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূলত সুন্নাতে খাতনার কাজটি করার কথা জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারীর)। কিন্তু মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরেই এই পদটি শুন্য থাকার সুযোগে নাইটগার্ড মোঃ আব্দুল্লাহ নিয়মিত সুন্নাতে খাতনার কাজটি করছেন। এজন্য তার কোনো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নাই। যার কাছ থেকে যত পারেন তিনি কৌশলে নেন। তবে প্রতিটি সুন্নাতে খাতনার ক্ষেত্রে তিনি ন্যুনতম ১ হাজার টাকা নেন। ক্ষেত্রবিশেষে ২/৩ হাজার টাকাও নেন তিনি।
তবে এতো টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন মোঃ আব্দুল্লাহ। তার দাবি, লোকজন খুশী মনে যা দেই তা নেই আমি। আর আমি তো মানুষের উপকারই করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান, ` একজন নাইটগার্ড কোনো অবস্থাতেই এ কাজ করার অধিকার রাখেন না।মোঃ আব্দুল্লাহ সুন্নাতে খাতনার কাজ করেন সেটা আমার জানা নেই।
একুশে সংবাদ/সা.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :