AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ধ্বংস


Ekushey Sangbad
আবু সাইদ খোকন, আমতলী, বরগুনা
০১:৪১ পিএম, ১১ জুন, ২০২৩
প্রকাশ্যে  বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু ধ্বংস

বরগুনার আমতলীর পায়রা নদীতে বাগদা-গলদা পোনা নিধনের মহোৎসব চলছে। মশারি, নেটের খুচনি জাল দিয়ে কতিপয় মৎস্য শিকারি গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে আমতলী বরগুনাসহ দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিন নির্বিচারে নিধন করছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। অথচ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেই তেমন নজরদারি।

 

নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, একটি খুচনি জালে প্রতিবার আট-দশটি চিংড়ির রেণুর সঙ্গে টেংরা, পোয়া, তপসিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের পোনা উঠে আসে। চিংড়ির রেণু আলাদা করে পাত্রে জিইয়ে রাখলেও ডাঙায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য প্রজাতির পোনা মাছ।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্বিচারে মারা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ উপজেলার বিভিন্ন স্পটে হতে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা আহরণ ও পরিবহন করা হলেও প্রশাসন এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে।

 

স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে দেদারছে বাগদা ও গলদা পোনা শিকার। অন্তত শতাধিক জেলে রাতদিন পায়রার বিভিন্ন স্থান থেকে গলদা-বাগদার রেনু পোনা ধরছে। এর সাথে যুক্ত আছে আড়তদার ও ঘের মালিক সহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোক। গলদা চিংড়ির আড়তদাররা সাধারন জেলেদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে অল্প টাকায় রেনু পোনা শিকার করতে বাধ্য করছে। অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টরা পোনা শিকারের বিষয়টি বিনিময়সূত্রে দেখেও না দেখার ভান করছে।

 

পায়রা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বৈঠাকাটা, চাওড়ার ঠোডাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে রেনু পোনা দেদারছে ধরা ক্রয় ও বিক্রয় হচ্ছে। বিশেষ জাল ও ভাসা জাল দিয়ে চলছে পোনা শিকার। কিন্তু পোনা শিকারীরা পোনা শিকার করতে গিয়ে প্রতিদিন অন্যান্য প্রজাতির অসংখ্য মাছের রেনু পোনা এবং মাছের জলজ খাদ্যকনা বিনষ্ট করে চলছে। এতে নদীতে এসব মাছ বিলুপ্ত ও খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

 

মৎস্য বিভাগের সূত্র মতে, মাত্র একটি চিংড়ি পোনার জন্য পোনা শিকারীরা ২ শতাধিক অন্যান্য জাতের মাছের রেনু পোনা মেরে ফেলছে। ফলে নদীর ভারসাম্য নস্ট হচ্ছে। নদী থেকে বেপরোয়া চিংড়ি পোনা নিধন বন্ধে ২০০১ সালে মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার বিষয়ে মৎস বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে কোন তৎপরতাই নেই ।

 

এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিদিন আমতলী তালতলীর বিভিন্ন এলাকার পোনার পাতিল পাচার হয়। আড়ৎদাররা এ পোনা ট্রাকে করে খুলনা, মংলা, বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে দিচ্ছে। এই পোনানিধন দিনের পর দিন চলতে থাকলে, অনেক প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাবে।

 

এই উপকূলীয় এলাকা একজন ব্যবসায়ী জানান, গলদা ও বাগদার রেণু চালান করতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সেক্টরে টাকা দিতে হয় এব্যাপারে আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার বলেন, রেনু পেনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত অপরাধ । আমতলী উপজেলা মৎস্য অফিসএ বিষয় তৎপর রয়েছে । সরেজমিনে পাওয়াগেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এবিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব মুঠোফোনে জানান, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অবৈধ মৎস্য শিকারি রেনু পোনা ধ্বংসকারী ও আড়তদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/স.খ.প্র/জাহা

Link copied!