ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ইভিএমে হাতপাখায় চাপ দিলে নৌকায় ভোট যায়।
সোমবার (১২ জুন) সকালে পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদরাসায় ভোট দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করে মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা যেসব অভিযোগ পেয়েছি। ভোট দেওয়া যাচ্ছে না। আমার এ কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি। মেশিন নষ্ট, কোনো কোনো জায়গায় একটু উলটাপালটা হচ্ছে। আমার পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে অভিযোগ এসেছে খুলনার খালিশপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নং কেন্দ্রে স্যাটেলাইট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাতপাখায় ভোট দিলে নৌকায় আসছে। এটা বড় সমস্যা।’
স্যাটেলাইট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাতপাখায় ভোট দিয়ে নৌকায় গেছে বলে দাবি করেছেন শোয়েবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি হাতপাখায় ভোট দিই। এরপর নিশ্চিত হতে কনফারমেশন বাটনে চাপ দেওয়ার পর নৌকা প্রতীক ভেসে উঠেছে। নিচে লেখা রয়েছে, আপনার ভোটটি নৌকা প্রতীকে গ্রহণ করা হলো। আমি সঙ্গে সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছি। তারা বলেছেন তাদের মেশিনে একটু সমস্যা রয়েছে পরে ঠিক করে দেবেন। পরে ৩ টা সাড়ে ৩টার দিকে দিয়ে আমাকে ভোট দিতে বলেছেন।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়ার্ড নং -১২ এর কেন্দ্র স্যাটেলাইট টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেন্টার প্রিজাইডিং অফিসার মো. আনারুল কবির।
তিনি বলেন, ‘এক ভোটার হাতপাখায় ভোট দিলে নৌকায় যায় এমন অভিযোগ করেছেন। তার এই অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। হয়ত তিনি একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য এমন অভিযোগ তুলেছেন।’
এদিকে ভোটের পরিবেশে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট হাতপাখার প্রার্থী আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এখনও পরিবেশ ভালো। এ রকম পরিবেশ থাকলে আমি আশা করি মানুষ ভোট দিতে আসবে। সব কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্ট আছে। কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র না হলে আমার হাতপাখা মার্কা আশা করছি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় ফলাফল যা হয়, তা মেনে নেব।’
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেওয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।
৩১ টি ওয়ার্ডের ২৮৯ টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১ টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :