গত কয়েক দিনের টানা অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পাহাড়ি ঢলে জেলার বিশ্বম্ভরপুরের একটি রাস্তা ও তাহিরপুরের যাদুকাটা, চলতি নদীসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেলও এখন কমতে শুরু করেছে।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটারা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েক জায়গায় নদীর তীর ডুবে গেছে।
এদিকে জেলার ছাতকে বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিত প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হতে সত্যরকলার মেইন রোড ছয়শত মিটার নামক স্থানে সড়কে পানি উঠে গেছে এবং জেলা শহরের সাথে তাহিরপুর উপজেলার সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ফলে সাধারন মানুষসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আর বৃষ্টিপাত কমতে শুরু হওয়ায় বন্যার আশংঙ্কা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জের ॥েষালঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরো কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকলে আপাতত বন্যার আশংঙ্কা নেই বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, বন্যার আপাতত পূর্বাবাস নেই তবে বন্যার আশংঙ্কা হলে সরকারের তরফ থেকে খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে এবং আশ্রম কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ক.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :