সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ২৪.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ সভা করেছে ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।
বুধবার (২১ জুন) বিকাল ৫ টার দিকে সালথা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ক্লাবটির অস্থায়ী কার্যালায়ে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় সালথা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করা হয়। একই সঙ্গে এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনেও বিচারের দাবি তোলা হয়।
অন্যদিকে সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি
সারাদেশের সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন বন্ধে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।
সালথা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও স্থানীয় দৈনিক বাঙ্গালী সময়ের সম্পাদক মো. সেলিম মোল্লার নেতৃত্ব ও দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তার প্রতিনিধি মো. শাহজাহান ফকির, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু, সাপ্তাহিক একুশের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি মজিবুর রহমান, স্থানীয় দৈনিক ভোরের বার্তার বার্তা সম্পাদক মো. মোশাররফ মাসুদ, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম মারুফ, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি মো. শরিফুল হাসান, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার প্রতিনিধি আকাশ সাহা, অনলাইন ঢাকারিপোর্ট২৪.কম-এর প্রতিনিধি আবুল বাশার প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, সংবাদ প্রকাশের জেরে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক নাদিম গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্তরা নাদিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২টার দিকে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাংবাদিক নাদিম জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া গোমেরচর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর অপকর্ম নিয়ে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছেন নাদিমের স্বজনরা।
নাদিম হত্যাকাণ্ডে ‘প্ল্যানমেকার’ চেয়ারম্যান বাবুসহ এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
একুশে সংবাদ/আ.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :