রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এই সিটি নির্বাচনে পরাজিত হওয়া তিন প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
এর আগে, বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। রাজশাহীতে ভোট পড়েছে ২৬ থেকে ৩৩ শতাংশ ভোট।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে রয়েছেন চারজন প্রার্থী। যদিও গত ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন। অপর তিন মেয়র পদপ্রার্থী হলেন— আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার।
নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১২ জন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে এই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। অপর ২৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১১ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন সুলতানা আহমেদ সাগরিকা নামে একজন তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী।
জানা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন মাত্র ছয়জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৫৩টি।
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :