কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়া খালী থেকে ৫টি গরু, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি নাম্বারবিহীন পিকআপ উদ্ধার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। তবে গরু চুরির সাথে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘীস্থ একটি পেট্টোল পাম্পের পাশ থেকে এসব উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫দিনে অন্তত অর্ধশতাধিক গরু ও মহিষ চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি মহিষও ছিলো। তবে মহিষগুলো উদ্ধার হলেও অধিকাংশ গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, এসব গরু চুরির পিছনে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটকে রাজনৈতিক দলের নেতারা ইন্ধান যোগাচ্ছে বলেও মনে করেন স্থানীয় লোকজন। যার কারণে গরু চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গরু চুরির কারণে অনেক খামারী ও গরীব কৃষক নি:স্ব হয়ে যাচ্ছে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘীর দক্ষিণ দিক থেকে একটি গরু বোঝাই পিকআপ আসতে দেখলে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে চোরের দল গরু ও নাম্বারবিহীন গাড়ি ফেলে চলে যায়। এসময় ওই গাড়ি থেকে ৫টি গরু, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি নাম্বারবিহীন পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি চকরিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে থানার এসআই মানিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে গরু, আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গরুগুলো কার এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজিব সরকার বলেন, স্থানীয় জনতার সহায়তায় ৫টি গরু, ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। এসব গরু কক্সবাজারের ওদিক থেকেই চুরি করে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে ধারনা করেন তিনি। জব্দকৃত গরু,অস্ত্র ও পিকআপ চকরিয়া থানার হেফাজতে রয়েছে। গরু চুরির পিছনে জড়িতদের খোঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/শা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :