জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শাখার গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎকারী পিয়ন আওলাদ হোসেন রঞ্জুর তিনদিন রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গোপাল কুমার ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী তিনদিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোপাল কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হলে গোপাল কুমারের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক সারফুল ইসলাম সহ শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি দল সোমবার ১০ জুলাই ভোর পৌনে ৬টায় গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য রন্জু ২০১৬ সালের দিকে বিভিন্ন এনজিও থেকে থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাপক ঋণগ্রস্থ্য হয়ে পড়েন। সপ্তাহে তার কিস্তির পরিমাণ দারায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এতো টাকার কিস্তি পরিশোধ করা তার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় তিনি ব্যাংকে লম্বা লাইন থাকলে পরিচিত গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পরে জমা দেয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করতেন।
গত ৬ জুলাই জনতা ব্যাংকের শাহজাদপুর শাখার জনৈক গ্রাহক তার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে এসে জানতে পারেন যে তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। অথচ তিনি গত ২মে আওলাদ হোসেন রঞ্জুর মাধ্যমে পাচ লক্ষ টাকা তার একাউন্টে প্রদান করেন।
ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে জানাজানি হলে রোববার (৯ জুলাই) জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা তাদের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত টাকা দেখতে না পেয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
গ্রাহকদের বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারা যায় যে প্রতারণা করে কোটি টাকা রঞ্জু আত্মসাৎ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথ্য দিয়ে জানান দায়ের করা অভিযোগে প্রতারণার শিকার ২৫ জনের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়। টাকার পরিমাণ আনুমানিক ৪৫ লাখ টাকা বলে জানা যায়, তবে ব্যাংকের অডিটের পরে প্রকৃত টাকার পরিমাণ জানা যাবে।
একুশে সংবাদ/হা.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :