AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত


Ekushey Sangbad
আবু সাইদ খোকন, আমতলী, বরগুনা
০৮:১৬ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২৩
ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

আমতলীর উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের হালিমা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিয়ন পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এঘটনা প্রমানিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের হালিমা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন গুলিশাখালী গ্রামের আব্দুল হক জোমাদ্দারের ছেলে রিয়াজ জোমাদ্দার এর নিকট থেকে স্টাম্পে লিখিত চুক্তি করে পিয়ন পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

 

ঘুষ নেওয়ার পর দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও রিয়াজ জোমাদ্দারের চাকুরি না হওয়ায় সে তার ঘুষের টাকা ফেরৎ দাবী করেন। এ নিয়ে অনেক দেন দরবার হলেও রিয়াজ তার টাকা ফেরৎ পায়নি। টাকা ফেরৎ না পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলামের নিকট ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

 

লিখিত অভিযোগের পর সভাপতি ৩সদস্য বিষ্টি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি তদন্ত করে রিয়াজ জোমাদ্দারের নিকট থেকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষটি প্রমানিত হওয়ায় তারা সভাপতি বরাবর লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সভাপতি গত ১০ জুলাই বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভা ডাকেন। ওই সভায় টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সভাপতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনকে টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই সভার রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

 

তদন্ত কমিটির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, চাকুরি দেওয়ার কথা বলে রিয়াজ জোমাদ্দারের নিকট থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।

 

রিয়াজ জোমাদ্দার বলেন, হালিমা খাতুন নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে পিয়ন পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে দুই দফায় ৪লক্ষ ৬০ হাজার টাকা স্টাম্পে স্ক্ধসঢ়;ষর করে ঘুষ নেন। আমাকে চাকুরি না দিয়ে তিনি ঘুরাতে থাকেন। টাকা ফেরৎ চাইলে সে টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমি সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি রিয়াজ জোমাদ্দারের নিকট থেকে কোন টাকা নেইনি। তবে লিখি দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সভা চালাকালীন সময়ে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে লাঞ্চিত করেছে বলে দাবী করেন। সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, শুনেছি রেজুলেশনে করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, চাকুরি দেওয়ার কথা বলে রিয়াজ জোমাদ্দারের নিকট থেকে সারে ৪ লাখ, পারভেজ খান নামে একজনের নিকট থেকে ২ লক্ষসহ একাধিক মানুষের নিকট থেকে ঘুষ নিয়েছেন। কাউকেই তিনি চাকুরি দিতে পারেনি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্তে সত্যতা পেয়ে তাকে সভার মাধ্যমে টাকা ফেরৎ দিতে বলায় সে টাকা দিতে অস্বীকার করে। এজন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। লাঞ্চিত করার বিষয়ে সে জানায় টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলায় যাতে টাকা ফেরৎ দেওয়া না লাগে সেজন্য নাটক সাজিয়েছে। এঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট।

 

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলন বলেন, হালিমা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান

শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/সা.খ.প্র/জাহা

Link copied!