বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ায় গত ১৩ দিন ধরে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার অন্তর্গত বংশীকুন্ডা (দ:) ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশীরা।
বংশীকুন্ডাব (দ:) ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদের উদাসীনতার কারণেই এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
ধর্মপাশা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎবিল বকেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ অফিস থেকে চেয়ারম্যানের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।
মধ্যনগর উপজেলা বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফয়েজ মিয়া বলেন, অবশেষে বকেয়া বিল অনাদায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে গত ১ জুলাই বংশীকুন্ডা (দ:) ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ অফিসে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি।
এদিকে, চেয়ারম্যানের এমন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সেবা প্রত্যাশীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, প্রতিদিনই অনেক লোক জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদসহ জরুরি পরিষেবা নিতে এসে বিদ্যুতের কারণে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এতে ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট সবার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রাজু আহমেদ জানান, বিদ্যুৎ না থাকলেও আইপিএস আছে, তবে ফটোকপি মেশিনগুলো অচল হয়ে পড়ে আছে।
ধর্মপাশা পল্লী বিদ্যুৎ সাবজোনাল অফিসের এজিএম জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে অনেকবার বলার পরেও উনি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি, তাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :