গরম আর রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মানুষের জীবন। গরমে অস্বস্তিতে রয়েছেন উপজেলার বাসিন্দারা। ভোরে সূর্য ওঠার পরপরই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। শ্রাবণের শুরুতেই হঠাৎ করে তাপমাত্রা বাড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন উপজেলার দিনমজুর ও খেতমজুর, ভ্যানচালক, ধান চাতাল শ্রমিকসহ মাঠের কৃষকেরা।
শ্রাবণের এই তীব্র গরমে ভাঙ্গুড়ায় ব্যস্ত রাস্তাগুলো সকাল থেকেই সুনসান ছিল। দোকান বাজার অধিকাংশ খোলা থাকলেও ভিড় কম ছিল। যদিও ঠাসা ভিড় দেখা গিয়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে।
প্রচণ্ড গরম, কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। শ্রাবণ মাসেও তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি অসহনীয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, সিলিং, টেবিল, স্ট্যান্ড ও চার্জার এ চার ধরনের ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন দোকানদাররা।
উপজেলার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রাবণের শুরুতেই কাঠফাটা রোদে দুঃসহ হয়ে উঠেছে তাদের জনজীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। বেশির ভাগ মানুষই গাছের নিচে ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ কেউ হাতে, মুখে মাথায় ও শরীরে পানি ছিটিয়ে একটু স্বস্তি নেয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জানান, কয়েকদিনের তুলনায় ভাঙ্গুড়ায় আজকে গরমের তীব্রতা কিছুটা বেশি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ উপজেলায় ৩৫-৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। তবে আগামী কয়েকদিন গরমের তীব্রতা থাকবে বলে জানান তিনি।
একুশেসংবাদ.কম/শে.সা/বিএস
আপনার মতামত লিখুন :