AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নড়াইলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে আট গ্রামের মানুষ


Ekushey Sangbad
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল
০১:৪৬ পিএম, ২২ জুলাই, ২০২৩
নড়াইলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে আট গ্রামের মানুষ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা খালের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে একটি অংশ দেবে গেছে। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিং। বাধ্য হয়ে ৮ গ্রামের মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকি নিয়েই চলছে ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, কৃষকের ধান নেওয়া ঘোড়ার গাড়ি, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া। তবে যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঘাঘা খালের ওপর নির্মিত হয় ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি। প্রায় ৩২ বছরের পুরোনো সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বছর দুয়েক আগে। এরপরও সেতুর সংস্কার করা হয়নি। শনিবার (২২ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে দেবে গছে। ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, কৃষকের পাট নেওয়া ঘোড়ার গাড়ি। তবে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন ও স্কুল-কলেজ এর শিক্ষার্থীরা হেঁটেই পার হচ্ছে।

 

স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগেই সেতুর মাঝের একটি পিলার দেবে যায়। এতে ধসে না পড়লেও মাঝ বরাবর ভেঙে যায় সেতুটি। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা, যোগিয়া, ধলইতলা, কোটাকোল, কুমারডাঙ্গাসহ ৮ গ্রামের বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

 

ঘাঘা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আমাদের যাতায়াতের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ফসল গাড়িতে নিয়ে পারাপার অনেক ঝুঁকি নিয়ে করতে হচ্ছে।

 

ঘাঘা এলাকার ইজিভাইক চালক বিপ্লব বলেন, আমরা ইজিবাইক চালকরা এই সেতুর ওপর দিয়ে চালাতে অনেক ভয় ভাই। আমাদের দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটি যেনো দ্রুত করে দেওয়া হয়।

 

ঘাঘা গ্রামের লিয়াকত হোসেন রজব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর ওপারে মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে যেতে হয়। পাশে স্কুল রয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাচলে ও সমস্যা হচ্ছে সবাই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে।

 

ঘাঘা-যোগিয়া শেফালী জ্যোতিস্ময় মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মুবিন বলেন, আমি প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করি। বিদ্যালয়ের যাওয়ার সময় আমার খুব ভয় করে সেতু দিয়ে যেতে। আমাদের দাবি, সেতুটি যেনো দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হয়। যাতে করে আমরা ভালভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে পারি।

 

কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসান আল মামুদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে সেতুর বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ চলাচল করছে।

 

কোটাখোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) শেখ শাহ আলম বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর সপ্তাহ খানেক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিকল্প সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে এলজিইডির লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিম বলেন, এই সেতুটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। আমরা বিষয়টি অবগত রয়েছি। গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা প্রকল্পটির প্রস্তাবনা দিয়েছি। এটি পাশ হলে আমরা সেতুটি বাস্তবয়ন করতে সক্ষম হবো।

 

একুশে সংবাদ.কম/উ.র.প্র/জাহা

Link copied!