গত কয়েকদিন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীরতীব্র স্রোতে ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে। মানবতার জীবন যাপন করছে ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো।
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে সরেজমিনে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগল বাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় ৭ নং ওয়ার্ডের (বাহাদুর পাড়া) গ্রামে ধরলা নদীর তীরবর্তী ভিন্ন চিত্র স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন পূর্বে ধরলা নদীর প্রচন্ড স্রোতে প্রায় ৩০টি পরিবারের পুরাতন বসতভিটা ও আবাদি জমি গত নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানচিত্র ভিন্নরূপ গ্রামটি অচেনা হয়ে পড়েছে।
ধরলার ভাঙ্গনের শিকার মাঈদুল, মুকুল, মহুবর, সমসের খেওনী, মালাবকস, গডমহুবর, তেস্তার, সাহালম, দুলাল, মেহের আলী, মঙ্গা জহুরুল, টুকু, মালেক হুজুর ও সাটু সহ অনেকে জানান, আমরা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। ধরলার দফায় দফায় বহুরূপী ভাঙ্গনের তান্ডবে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। দীর্ঘদিন থেকে বল্টুর মোড়ে আমরা বাজার করেছিলাম সেখানে এখন নদীর স্রোতে কচুরিপানা ভেসে যাচ্ছে। কোথায় থাকবো তার স্থান নেই।
বসতভিটা হারিয়ে যাওয়া অসহায় পরিবারের অনেকে পার্শ্ববর্তী চর সিতাইঝাড় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, কলাবাগান মাঝের চর ও ফজলের মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে ঠাঁই নিয়েছে। অনেকে অর্ধাহারে অনারে দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোগলবাসা ইউপি চেয়ারম্যান এ মাহফুজুর রহমান মিলন জানান ভাঙ্গন রোদে স্থায়ী সমাধান ও অসহায় পরিবারের পূর্ণবাসনের জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষ নিকট ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জরুরী ভাবে জমা দেওয়া হবে ।
একুশে সংবাদ.কম/ন.দ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :