মানিকগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানদের অনুপস্থিতিতে পরকীয়া প্রেমিকাকে বাসায় ডেকে এনে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে আলম চাঁন নামের এক ভন্ড পীরকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ভন্ড পীরের পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চত হয়ে প্রতিবেশিরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশ ভন্ড পীর আলম চাঁনের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে।
ভন্ডপীর আলম চাঁন উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের গুজুরী গ্রামের ছেদু ফকিরের ছেলে। তার দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এদিকে প্রায় এক দশক আগে স্বামী মারা গেছে পরকীয়া প্রেমিকার। ওই নারীও দুই সন্তানের জননী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক হওয়া ওই নারীর সাথে গত সাত বছর ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িত ছিল আলম চাঁন। তারা দুজন মাঝে মাঝেই একে অপরের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। রবিবার রাতে আলম চাঁনের স্ত্রী-সন্তনরা অন্যত্র বেড়াতে গেলে আলম চাঁনের বাড়িতে আসে ওই নারী। এরপর অনৈতিক কাজ করার পর তাকে চলে যেতে বললে ঘটে বিপত্তি। ওই নারীর আলম চাঁনকে বিয়ের দাবি জানান। এ সময় ভন্ডপীর বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে ওই নারী চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ৯৯৯-এ কল করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও ভন্ডপীর আলম চাঁনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, আলম চাঁন অষ্টম শ্রেণি পাশ। সে মানিকগঞ্জ কোর্টে মোহুরির কাজ করে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গ্রাম্য সালিশে সেসব অভিযোগ মিমাংসা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিকে প্রভাবশালী এক নেতা ও পুলিশের সহযোগিতায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে থানায় আপস মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে থানার গেটের বাইরে আলম চাঁনের স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মুরুব্বিদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করতেছি, তারা অনেক টাকা চেয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুই পক্ষের মুরুব্বিরাও থানায় এসেছে। ওই নারী কি চায় এখনো সেটা জানায়নি। কোন অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অভিযোগ না করলে তাদেরকে তাদের মুরুব্বিদের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :