AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে বিশেষ অঙ্গ পুড়ে ছাই


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
০৫:৫৭ পিএম, ১ আগস্ট, ২০২৩
সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে বিশেষ অঙ্গ পুড়ে ছাই

চিকিৎসক ও হসপিটালের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের ইসলামীয়া হাসপাতালে সুন্নতে খাতনা (মুসলমানী) করতে গিয়ে মাহাদী নামের তিন বছরের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ পুড়ে ফেলার অভিযোগে সেই ডিএমএফ চিকিৎসক সরোয়ার হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে রামগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) দুপুরে বাদীর আইনজীবী মো. জাকির হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে সোমবার (৩১ জুলাই) লক্ষ্মীপুর জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল রামগঞ্জ আদালতের বিচারক তাহরিনা আক্তার নওরিন এ নির্দেশ দেন। ভুক্তভুগী শিশু মাহাদীর দাদা আনোয়ার হোসেন আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী আনোয়ার হোসেন রাামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা মিয়া রাজা পাটওয়ারী বাড়ীর মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে।

 

অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, ইসলামীয়া হাসপাতালের কর্মকর্তা রবিউল আলম রিয়াজ, হাসপাতালটির পরিচালক মো: সাইফুল্লাহ মানিক ও ডা: সরোয়ারের সহকারী আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ।

 

বাদীর আইনজীবী মো. জাকির হোসাইন বলেন, ইসলমীয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সুন্নতে খতনা (মুসলমানি) করানোর সময় মেশিনের অতিরিক্ত তাপে ভিকটিমের পুরুষাঙ্গ পুড়ে গেছে।

 

এ ঘটনায় বাদী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি আমলে নিয়ে বিচারক রামগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

 

বাদী ও এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে দুপুরে তিন বছরের শিশু মাহাদীকে সুন্নতে খাৎনা করানোর জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবদুর রহিমের পরামর্শে রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুটির পরিবার। এসময় সার্জারী করছিলেন ডিএমএফ ডিগ্রীধারী ডা.সরোয়ার হোসেন। কিন্তু সুন্নতে খৎনা করানোর সময় ব্যবহৃত মেশিনের অতিরিক্ত তাপে পুড়ে যায় শিশুটির পুরুষাঙ্গ। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে দ্রুত নোয়াখালীর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুটিকে রেপার করে ইসলামীয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে অদ্যাবদি ভর্তি রয়েছে।

 

বাদী আনোয়ার হোসেন জানায়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালের কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক মেশিনের অতিরিক্ত তাপের কারনে তার পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আমার নাতী আজীবনের জন্য পুরুষত্ব হারিয়েছে। স্থানীয় আল-ফারুক হাসপাতালের মালিক ফারুক হোসেন সহ কিছু লোকজন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমার নাতি হসপিটালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, আমরা তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ থাকায় গতকাল আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। আমরা এ ঘটনার উচিত বিচার প্রার্থনা করছি।

 

আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, ডাঃ সরোয়ার হোসেনের ভুল চিকিৎসায় আমার নাতির পুরুষাঙ্গ পুড়ে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর সঙ্গে জড়িত। আমি তাদের বিচার চাই।

 

অভিযুক্ত ডাঃ সরোয়ার হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল করে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ডা.সরোয়ারের ভাই কাউছার হোসেন বলেন, মামলার হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, এঘটনায় শিশুটির পরিবারের সাথে সমযোতার চেষ্টা করছি।

 

রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালের কর্মকর্তা রবিউল আলম রিয়াজ বলেন, ভুল করলে ডাক্তার করেছে এখানে হাসপাতালের কী দোষ।

 

রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিকের মোবাইলে একাধিকবার কল করে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে এসএমএস দিয়েও কোন উত্তর মিলেনি।

 

পরবর্তীতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হসপিটালের এক কর্মচারী জানান, মামলার হওয়ার পর থেকে হসপিটালে মালিক পক্ষের লোকজন খুব একটা আসেন না।

 

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আহম্মেদ কবীর জানান, আমি এ মামলার ঘটনাটি জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে অবশ্যই বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ডিএমএফ চিকিৎসক এ ধরনের অপারেশন বা সুন্নতে খৎনা করাতে পারেন না।

 

রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, ইসলামীয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা হাতে পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/স.হ.প্র/জাহা

Link copied!